Beta
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ, বেড়েছে লোডশেডিং

শনিবার থেকে বন্ধ মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন।
শনিবার থেকে বন্ধ মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন।
Picture of বিশেষ প্রতিনিধি, সকাল সন্ধ্যা

বিশেষ প্রতিনিধি, সকাল সন্ধ্যা

কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণের কারণে পাঁচদিন ধরে বন্ধ রয়েছে কক্সবাজারের মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন।

এছাড়া পাশাপাশি এলাকায় থাকা কয়লাভিত্তিক আরেক বিদ্যুৎকেন্দ্র এস আলম গ্রুপ ও চীনের যৌথ মালিকানাধীন এসএস পাওয়ার কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে। ১ হাজার ২২৪ মেগাওয়াট সক্ষমতার এই কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে ৬১২ মেগাওয়াটে নেমেছে।

মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ ও এসএস পাওয়ার থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাওয়ায় চট্টগ্রামে লোডশেডিং বেড়ে ভোগান্তিতে পড়েছে নগরবাসী।

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দিনে ১ হাজার ১৫৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড আছে। সর্বশেষ ৮ আগস্ট এই কেন্দ্র থেকে সক্ষমতার প্রায় সমপরিমাণ বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হয়।

পাঁচদিন ধরে মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের বিষয়ে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের মাতারবাড়ী কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা ১২শ’ মেগাওয়াট। কারিগরি রক্ষণাবেক্ষণের কারণে শনিবার থেকে এটি বন্ধ রেখেছি।

“রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে। আশা করছি, ২০ আগস্ট পুনরায় এই কেন্দ্র চালু করতে পারব। কয়লার সংকট না থাকায় তখন পুরোদমে উৎপাদনে যেতে পারব আমরা।”

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে ২৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে ১৬টি কেন্দ্রই বন্ধ। এগুলোর মধ্যে জ্বালানি সংকটের কারণে বন্ধ আছে ৭টি, গ্যাস সংকটের কারণে একটি, রক্ষণাবেক্ষণের কারণে বন্ধ আছে দুটি কেন্দ্র। বাকিগুলো বন্ধ থাকার কারণ জানা যায়নি।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) এক কর্মকর্তা সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “এলএনজি সংকটের কারণে একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ আছে। আর রক্ষণাবেক্ষণের কারণে একাধিক কেন্দ্র থেকে উৎপাদন হচ্ছে না। তবে তেলনির্ভর কিছু কেন্দ্রের উৎপাদন বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে। চট্টগ্রামে এখনও সেভাবে লোডশেডিং হয়নি। সহনীয় পর্যায়ে আছে।”


আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত