হতে পারে এটা বাংলাদেশের ফুটবলের অন্যতম স্মরণীয় ম্যাচ। হতে পারে এটা বাংলাদেশের ফুটবলের অন্যতম বিতর্কিত আন্তর্জাতিক ম্যাচ। তারই সাক্ষী হয়ে থাকবেন দেশের ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন !
তিনিও বসে আছেন ম্যাচ শেষ হওয়ার অপেক্ষায়। এক ঘণ্টা ধরে সাফ অনূধর্ধ-১৯ নারী ফুটবল ফাইনালের নাটক চলছে। খেলাও হয়েছে, তবে নিষ্পত্তি না হওয়ায় নাটকের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছেন ম্যাচ কমিশনার জয়সুরিয়া দিলান সিলভা। সাডেন ডেথ থামিয়ে হঠাৎ টসের সিদ্ধান্ত দেওয়ার পর থেকেই চলছে ফাইনালের অপ্রত্যাশিত নাটক। বাংলাদেশ দল মাঠে আর মাঠ ছেড়ে ড্রেসিং রুমে বসে ভারতীয় দল।
কমলাপুর স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ছিল ভারত ও বাংলাদেশের ফাইনাল। এই ম্যাচে শুরুতে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ভাগ্য ভাল যে যোগ করা সময়ে আবার সাগরিকার আবির্ভাব ত্রাতা হয়ে, তার গোলে ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। এরপর ট্রাইব্রেকারে প্রথম ৫টি শটেও ভারত ও বাংলাদেশের গোল সমান সমান। সাডেন ডেথে গড়ালেও ১১-১১ গোলের সমতা !
এরপর শিরোপা নিষ্পত্তির জন্য রেফারি নেন টসের সিদ্ধান্ত। টসে হেরে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। ভারত টসে জিতে উল্লাস শুরু করে দেয়।
এই সিদ্ধান্ত না মেনে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আফঈদা ও ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বাবু প্রতিবাদ জানান মাঠেই। পাশাপাশি প্রতিবাদ জানাতে থাকে মাঠে উপস্থিত দর্শকরাও । তখন শিরোপার উল্লাস শুরু করেছিল ভারত যাদের দিকে গ্যালারি থেকে বোতল ছুঁড়ে মারতে থাকেন দর্শকরা।
কিন্তু একটু বাদে ম্যাচ কমিশনার ভারতের টস জয়ের ঘোষণা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেন এবং সাডেন ডেথ চালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন রেফারিদের। এটা কভাবেই মেনে নেয়নি ভারতীয়রা। রাগে ক্ষোভে ভারতীয় ফুটবলাররা মাঠ ছেড়ে চলে যায়।
মূলত শ্রীলঙ্কান ম্যাচ কমিশনার জয়সুরিয়া দিলান সিলভার ভুলেই এমনটি হয়েছে। প্রথমে ম্যাচ কমিশনার ভুল করে সাডেন ডেথ না চালিয়ে টস করেছেন। কিন্তু বাইলজে টসের কোনও নিয়ম আছে কিনা জানা নেই কারো। এরপর তিনি ভুল স্বীকার করে ভারতের দলকে অনুরোধ করেন, আবারও সাডেনে ডেতে ম্যাচ চালানোর জন্য। কিন্তু ভারতীয়রা সেটা মানেনি। এই নাটক চলছে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে।