১৯৯ রানের পুঁজি নিয়েও স্বস্তিতে ছিল না লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্ট। কারণ জবাবে পাঞ্জাব কিংস ১০ ওভারেই বিনা উইকেটে ৯৮ করে পাচ্ছিল জয়েরে সুবাস।
তখনই লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক নিকোলাস পুরান বল তুলে দেন ২১ বছর বয়সী ডানহাতি পেসার মায়াঙ্ক যাদবের হাতে। আইপিএলে ২০২২ সালে নিলামে মাত্র ২০ লাখ রুপিতে তাকে কিনেছিল লক্ষ্ণৌ। প্রথম দুই মৌসুম খেলা হয়নি। শনিবার অভিষেকে গতির ঝড় তুলে মাতালেন সেই মায়াঙ্কই।
তার ২৪ বলের মধ্যে ৯টির গতি ছিল ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের বেশি। নিজের দ্বিতীয় ওভারে শিখর ধাওয়ানকে করা প্রথম বলটার গতি ঘণ্টায় ১৫৫.৮ কিলোমিটার, যা এবারের আইপিএলে সর্বোচ্চ।
শুধু গতি নয়, ৪ ওভারে ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে জিতিয়েছেন দলকেও। লক্ষ্ণৌর ১৯৯ রানের জবাবে পাঞ্জাব থামে ৫ উইকেটে ১৭৮ রানে। লক্ষ্ণৌর কুইন্টন ডি কক ৩৮ বলে ৫৪, নিকোলাস পুরান ২১ বলে ৪২ আর ক্রুনাল পান্ডিয়া করেন ২২ বলে ৪৩।
পাঞ্জাবের হয়ে শিখর ধাওয়ান ৫০ বলে ৭০ ও জনি বেয়ারস্টো করেছিলেন ২৯ বলে ৪২। লক্ষ্ণৌর ২১ রানের জয়ে ম্যাচ সেরা মায়াঙ্কই।
গতির এই নেশায় বুঁদ থাকতে চান মায়াঙ্ক। ম্যাচ শেষে বললেন সেই কথা, ‘‘আমার পছন্দ রকেট, প্লেন, সুপারবাইক বা এরকম কোন কিছুরই গতি। এত ভালো অভিষেক হবে ভাবিনি। অন্যদের কাছ থেকে শুনে এসেছি, অভিষেকের সময় স্নায়ুচাপ থাকে। তবে প্রথম বলের পর তা কেটে গিয়েছিল।’’
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক গতিতারকা ব্রেট লি ‘এক্স’-এ মায়াঙ্কের প্রশংসায় লিখেছেন, “ভারত তাদের দ্রুততম বোলার খুঁজে পেয়েছে। মায়াঙ্ক যাদব! কাঁচা গতি। খুবই উপভোগ্য।” দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক তারকা ডেল স্টেইন লিখেছেন, ‘‘মায়াঙ্ক যাদব, এতদিন কোথায় লুকিয়ে ছিলে।’’
লোকেশ রাহুলের জায়গায় লক্ষ্ণৌকে নেতৃত্ব দেওয়া নিকোলাস পুরানও মুগ্ধ মায়াঙ্কে,“ রাতটা ছিল মায়াঙ্কের। দলের সবাই খুশি যে, সে সুযোগ পেয়েছে আর পারফর্ম করেছে।”