সারাদেশে ২৩টির বেশি আয়নাঘর রয়েছে, সেসব জায়গা অচিরে বন্ধ করার দাবি তুলেছে গুমের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের প্ল্যাটফর্ম ‘মায়ের ডাক’। তারা আহ্বান জানিয়েছেন, দেশের নাগরিকদের কাছে আয়নাঘর নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ প্রকাশ করা হোক।
বুধবার বিকালে ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত এক আলোচনায় দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি তোলা হয়। তারা জানান, ১৫৫ জন গুম হওয়া ব্যক্তি এখনও তাদের পরিবারের কাছে ফেরেনি। দ্রুত তাদের খুঁজে বের করতে হবে।
গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী রেজাউর রহমান লেনিনের উপস্থাপনায় আলোচনায় অংশ নেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, আইনজীবী ড. সিনথিয়া ফরিদ।
বক্তারা বলেন, গুম খুন নিয়ে জাতীয়ভাবে আলোচনা হলেও আন্তর্জাতিকভাবে কোনও আলাপ হয় না। এসব ঘটনায় বিচারের অবকাঠামো তৈরি করতে হবে।
গুমের শিকার পরিবারের এক সদস্য বলেন, “গুমের শিকার ব্যক্তিদের আয়নাঘরের মতো বন্দিশালা থেকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে।
“জাতিসংঘ ও নাগরিকদের তত্ত্বাবধানে গুমের শিকার ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যদের জন্য দ্রুত একটি কমিশন গঠন করতে হবে; যা ঘটনার তদন্ত থেকে শুরু করে বিচার পর্যন্ত করণীয় সবই করবে। পাশাপাশি আয়নাঘরগুলো ভেঙে জাদুঘর বানাতে হবে, যাতে আর কেউ গুম, খুন এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ করতে না পারে।”
অন্তর্বর্তী সরকারের বিচারকাজে আশাবাদী হতে চান বলেও জানান ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
আলোচনার পাশাপাশি গুম হওয়াদের নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী করা হয় জাতীয় জাদুঘরে।