কমিক চরিত্র ব্যাটম্যান নিজের পরিচয় গোপন রাখতে পরেন বিশেষ ধরনের মুখোশ । চোখ আর নাকসহ উপরের দিক ঢাকা আর নীচের দিক উন্মুক্ত সেই মুখোশের মতোই এক ধরনের বিশেষ মুখোশ পরে ফুটবল খেলেছেন অনেক তারকা।
এর সবশেষ সংযোজন কিলিয়ান এমবাপ্পে। এবারের ইউরোর চলা সময় অস্ট্রিয়ার এক ডিফেন্ডারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নাকে ব্যথা পান তিনি। এরপর অনিশ্চিত হয়ে পরে ইউরো। অস্ত্রোপচার না করিয়ে তিনি খেলছেন মুখে মাস্ক পরে।
কাল মাস্ক পেরে গোলও করেছেন পোল্যান্ডের বিপক্ষে। তার মাস্ক নিয়ে ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশম জানালেন, ‘‘এমবাপ্পে খেলার জন্য ক্ষুধার্ত। তবে মাস্কে কিছুটা জটিলতা হচ্ছে। ও ঘামলে সেটা চলে যাচ্ছে চোখে।’’
গত বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়ার তারকা সন হিউং মিন, ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলার জাসকো গাভারদিওল, ইরানের গোলরক্ষক আলিরেজা বেইরানভান্দ ও তিউনিসিয়ার এলিস খেলেছিলেন মাস্ক পরে। এছাড়া চেলসির সাবেক ও রিয়ালের বর্তমান তারকা রুডিগার, পোল্যান্ডের রবার্ট লেভানদোস্কি, গ্যাবনের অবামেয়াংসহ আরও অনেকেই ফুটবল খেলেছেন মাস্ক পরে।
কোনও ফুটবলারের মুখের উপরের দিকের কোনও অংশে চোট থাকলে, সেই জায়গার আঘাত এড়াতেই মুখোশ ব্যবহার করা হয়। মুখোশগুলি সাধারণত পলিকার্বনেটের মতো উপাদান দিয়ে তৈরি। তাই এগুলো হালকা হলেও খুব মজবুত। খেলোয়াড়ের মুখের আদল অনুসারে থ্রিডি প্রিন্টারে তৈরি করা হয় মাস্কগুলো।