Beta
রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
রবিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

৯৩ বছর বয়সে পঞ্চম বিয়ে করলেন রুপার্ট মারডক

স্ত্রী এলেনা জুকোভার সঙ্গে রুপার্ট মারডক
স্ত্রী এলেনা জুকোভার সঙ্গে রুপার্ট মারডক
[publishpress_authors_box]

গুঞ্জন সত্যি করে মিডিয়া টাইকুন কেইথ রুপার্ট মারডক পঞ্চমবারের মতো বিয়ে করলেন। শনিবার ক্যালিফোর্নিয়ায় নিজের আঙুরবাগানেই বহু গণ্যমান্যের উপস্থিতিতে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়।

৯৩ বছর বয়সী মারডকের নতুন স্ত্রীর নাম এলেনা জুকোভা। তিনি একজন অবসরপ্রাপ্ত রুশ জীববিজ্ঞানী।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের শেষের দিকে মারডকের সম্পর্ক ছিল যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা চ্যাপলেইন অ্যান লেসলির সঙ্গে। ২০২৩ সালের মার্চে উভয়ের মধ্যে বাগদানও হয়েছিল। বিয়ের পরিকল্পনা করেও বাগদানের পরের মাসেই তা ভেস্তে যায়।

মূলত তখন থেকেই জুকোভার সঙ্গে নতুন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন মারডক, এমনটাই বলছে যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়াগুলো। মজার বিষয় হলো, এই বছরের মার্চেই জুকোভার সঙ্গে মারডকের বাগদান হয়। তখনই তারা জুনে বিয়ের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন।

ছয় সন্তানের বাবা মারডক একজন সফল ব্যবসায়ী। আন্তর্জাতিক মিডিয়া অঙ্গনে তাকে মিডিয়া মোগল বা টাইকুন বলা হয়। তার প্রতিষ্ঠিত নিউ করপোরেশনের অধীনে চলে ফক্স নিউজ, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, দ্য সান ও দ্য টাইমসের মতো প্রভাবশালী মিডিয়া।

গত বছর অবশ্য মারডক নিউজ করপোরেশন ও ফক্স নিউজের চেয়ারম্যান পদ থেকে অবসরে যান। ওই পদে বসান নিজের ছেলে ল্যাচলানকে।

বিবিসি বলছে, জুকোভার সঙ্গে মারডকের পরিচয় হয় তার সাবেক স্ত্রী ওয়েন্ডি দেংয়ের মাধ্যমে এক অনুষ্ঠানে। ওয়েন্ডি একজন চীনা বংশোদ্ভুত উদ্যোক্তা।

ওয়েন্ডি ছাড়াও মারডকের সাবেক স্ত্রীদের তালিকায় আছেন অস্ট্রেলীয় ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট প্যাট্রিসিয়া বুকার, স্কটিশ সাংবাদিক অ্যানা মান ও যুক্তরাষ্ট্রের মডেল ও অভিনেত্রী জেরি হল।

৬৭ বছর বয়সী জুকোভার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। এর আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন রুশ তেল ব্যবসায়ী ও ধনকুবের আলেকজান্ডার জুকোভকে। তাদের মেয়ে ডাশা বিয়ে করেছিলেন আরেক রুশ ধনকুবের রোমান আব্রামোভিচকে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আব্রামোভিচের বেশ গভীর সম্পর্ক রয়েছে।

রুপার্ট মারডক ও তার সাবেক স্ত্রীরা।

১৯৫০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ক্যারিয়ার শুরু করেন মারডক। ১৯৬৯ সালে দূরদর্শী চিন্তা থেকে নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড ও দ্য সান পত্রিকা দুইটি কিনে নেন তিনি। এরপর তিনি নিউ ইয়র্ক পোস্ট ও ওয়াল স্ট্রিট জার্নালও কিনে নেন। ১৯৯৬ সালে তিনি শুরু করেন ফক্স নিউজ। এটি এখন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল।

মারডককে মিডিয়া টাইকুন বলার অন্যতম কারণ হলো, উল্লেখযোগ্য প্রভাবশালী মিডিয়া ছাড়াও তিনি শ`খানেক স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার মালিক।

টাইকুন হিসেবে মারডকের ব্যবসায়িক জীবনের পুরোটাই সরল নয়। ২০১১ সালে তিনি জড়িয়ে পড়েছিলেন ফোনে আড়িপাতা কেলেঙ্কারিতে। তখন এক তদন্তে বের হয়, মারডকের নিউজ করপোরেশনের সাংবাদিকেরা অবৈধ ও অনৈতিক কাজে জড়িত ছিল। বিশেষত যুক্তরাজ্যের সেলিব্রেটি ও রাজনীতিকদের ফোনে আড়িপাতা, মেইলবক্স হ্যাক করার মতো ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল তারা।

ওই ঘটনায় তখন রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক চাপের মুখে পড়েন মারডক। তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একাধিকবার সাক্ষ্য দিয়ে দাবি করেন যে, তিনি আড়িপাতা ও হ্যাকিং সম্পর্কে জানতেন না।

প্রভাব খাটিয়ে মারডক নিজের পিঠ বাঁচালেও, বলি দিতে হয় ছেলে জেমস মারডককে। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে সরে যেতে হয় জেমসকে। শুধু তাই নয়, ওই ঘটনার পর থেকে জেমস একদম আড়ালে চলে গেছেন। অথচ এক সময় জেমসেই মারডকের যোগ্য উত্তরাধিকারী মনে করা হতো।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত