রোগীর মৃত্যুর পর চিকিৎসকের ওপর হামলা বাংলাদেশে অনিয়মিত ঘটনা নয়; তবে সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসকদের মারধর ও ভাংচুরের পর তা আবার এসেছে আলোচনায়। এর প্রতিবাদে সারাদেশে চিকিৎসকরা ধর্মঘটও ডেকেছিল।
২০১৩ সালেও এমন কয়েকটি ঘটনার পর চিকিৎসকরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছিল। তখন একটি আইন করার উদ্যোগ নিয়েছিল সরকার। তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন নামে সেই আইনটির খসড়াও তৈরি হয়। কিন্তু আইনটি আর হয়নি।
নাসিমের পরের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আইনটি ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই বছরের শুরুতে সামন্ত লাল সেন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর আইনটি চূড়ান্ত করার বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছিলেন।
কিন্তু ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আইনটি চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ায় আবার অনিশ্চয়তা দেখা দিল।
এর মধ্যেই সরকার পতনের পর অস্থিরতার মধ্যে গত ৩০ আগস্ট এক রোগীর মৃত্যুর পর আক্রান্ত হন চিকিৎসকরা। এর প্রতিবাদে ধর্মঘট ডেকে চিকিৎসকরা যে চারটি দাবি জানায়, তার মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের কথাও ছিল।
কেন সুরক্ষা চায় চিকিৎসকরা
গত ৩০ আগস্ট শুধু ঢাকা মেডিকেলই নয়, আরও দুটি হাসপাতালে আক্রান্ত হয় চিকিৎসকরা। সরকারের আশ্বাসে চিকিৎসকরা কাজে ফিরলেও এমন ঘটনা থেমে থাকেনি।
গত ১১ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার সদর হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুর পর হাসপাতাল ভাংচুর হয়। চিকিৎসককে পিটিয়ে রাস্তায় এনে ফেলে রাখার ঘটনাও ঘটে।
এমন ঘটনায় অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে চিকিৎসকদের ওপর হামলা হয়। কক্সবাজারের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছিল।
কক্সবাজার জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক জাহিদুল মোস্তাফা বলেছেন, জটিল ও সংকটাপন্ন ওই রোগীকে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পরও কয়েকজন যুবক চিকিৎসককে মারধর করে।
ওই চিকিৎসক রোগীর চিকিৎসায় তার পক্ষে যতটা করা সম্ভব, তাই করেছিলেন দাবি করে আরেকজন চিকিৎসক বলেন, “অথচ তাকে কীভাবে পেটানো হলো! এই চিকিৎসক কি কোনোদিন এই ট্রমা থেকে বের হতে পারবেন? তিনি কি আর মন থেকে রোগীকে চিকিৎসা দিতে পারবেন?”
স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশীদ-ই-মাহবুব বলেন, “এভাবে চিকিৎসকরা মার খেয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে, এটা অন্যায়, খুব অন্যায় হচ্ছে।
“যে ছেলেকে মেরেছে (চিকিৎসক) তার তো কোনও দোষ ছিল না, রোগীটা মুমূর্ষু ছিল। চিকিৎসক কি তাহলে চিকিৎসা করবেন না? সরকারকে এই মুহূর্তে এর ব্যবস্থা নিতে হবে।”
রোগীর মৃত্যুর পর তার স্বজনরা ভুল চিকিৎসার অভিযোগ যে তোলেন, তা নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন।
পেশায় চিকিৎসক সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল গত ১ মে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, “ভুল চিকিৎসা বলার অধিকার কারও নেই, এমনকি আমারও। এটা বলার অধিকার আছে শুধু বিএমডিসির (বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল)। এই ভুল চিকিৎসার অজুহাতে চিকিৎসকদের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হয়, এটা খুবই ন্যক্কারজনক।”
চিকিৎসকরা বলছেন, যে কোনও মানুষের মৃত্যুই দুঃখজনক। ফলে এই মৃত্যু স্বজনদের আবেগাক্রান্ত করবে, তা স্বাভাবিকই। কিন্তু তা ধরে চিকিৎসকদের ওপর আক্রমণ হতাশাজনক।
মৃত্যু জড়িয়ে থাকে এসব ক্ষেত্রে জনমত স্বাভাবিকভাবেই চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে যায় বলে তুলে ধরেন এক চিকিৎসক।
তিনি বলেন, ফলে আক্রান্ত হওয়ার পর যখন ভুল চিকিৎসার অভিযোগে যখন মামলা হয়, তখন চিকিৎসকরা আবার গ্রেপ্তার হওয়াসহ নানা পুলিশি হয়রানিতে পড়েন।
“থানাতে অভিযোগ দিলেও চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা হয়, এটা খুবই দূর্ভাগ্যজনক,” সকাল সন্ধ্যাকে বলছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান।
অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ এনিয়ে একটি কলামে লিখেছেন, “ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তা অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে করা উচিৎ। শুধু আবেগের বশে ভাংচুর বা উচ্ছৃঙ্খল আচরণ যেন না হয়। পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশের ডাক্তারেরও ভুল হয়।
“প্রয়োজনে মামলা হতেই পারে, কিন্তু অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কোনোভাবেই যেন গ্রেপ্তার ও হয়রানি না করা হয় এবং তাদের সঙ্গে খুনের মামলার আসামির মতো আচরণ কোনোক্রমেই কাম্য নয়।”
কারও বিরুদ্ধে চিকিৎসা সংক্রান্ত মামলা হলে গ্রেপ্তারের আগে বিএমডিসির অনুমতি নেওয়া উচিৎ বলে মনে করেন একুশে পদকজয়ী এই চিকিৎসক।
অন্য দেশে কী আছে
অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ তার প্রকাশিত একটি লেখায় দেখিয়েছেন, বিভিন্ন দেশে চিকিৎসকদের সুরক্ষায় কেমন আইন রয়েছে।
তাতে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসা সেবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং হাসপাতালে হামলা গুরুতর অপরাধ হিসাবে বিবেচিত। তার শাস্তি ১৪ বছরের কারাদণ্ড। ২০১৪ সালে চীন এমন অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান করে।
যুক্তরাজ্যে ১৯৯৯ সালে ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে হামলায় ‘জিরো টলারেন্স জোন’ ক্যাম্পেইন চালু করে। সেখানে এই ধরনের অপরাধে সর্বোচ্চ নয় মাসের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতে ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত দেয়, কোনও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তোলা হলে তার প্রাথমিক সত্যতা ছাড়া ওই চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করা যাবে না।
নেপালে ২০১০ সালে স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান সুরক্ষায় আইন পাস হয় এই ধরনের অপরাধে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাদণ্ড এবং তিন লাখ রুপি জরিমনার বিধান রেখে।
২০১৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল রিভিউ অব রেডক্রসের ‘ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট হেলথ কেয়ার’ এ বলা হয়েছে, যদি চিকিৎসকদের নিরাপত্তা এবং নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিত না করা যায় তাহলে পরিস্থিতি ভয়াবহ এবং জটিল হয়ে উঠবে। বাংলাদেশে এখানে ঘাটতি রয়েছে।
খসড়া হলো, তারপর …
২০১৪ সালে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) থেকে তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিমকে চিকিৎসক সুরক্ষা আইনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
বিএমএর তখনকার মহাসচিব অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আগের বছর (২০১৩) বেশ কিছু চিকিৎসক নিগৃহের ঘটনা ঘটে, ভাংচুর হয় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। তখনই এ নিয়ে কী করা যায়, ভাবার কারণে এরকম একটা আইনের কথা মাথায় আসে।
“তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মো. নাসিমকে এ নিয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়, একটা ড্রাফট (খসড়া) প্রস্তুত করা হয়। সেই ড্রাফট নিয়ে সুশীল সমাজ, সাংবাদিকসহ সবার সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক হয়। সেখানে নানাকিছু সংযোজন, বিয়োজনও হয়।”
তখনকার স্বাস্থ্য সচিব হুমায়ুন কবির মত দিয়েছিলেন, কেবল চিকিৎসকদের স্বার্থ নয়, রোগীর স্বার্থও যেন সংরক্ষিত হয়, আইনটি তেমনভাবে হওয়া দরকার।
“তখন চিকিৎসক-রোগী দুই পক্ষের স্বার্থ, অধিকার মিলিয়ে একে স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা আইন হিসেবে ফাইনাল হলো। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেটা আলোর মুখ দেখেনি,” বলেন ডা. ইকবাল আর্সলান।
কেন এটা হলো না- এই প্রশ্নে আওয়ামী লীগ সমর্থক সংগঠনদের এই নেতা বলেন, “এই আইনের কাজ যখন হচ্ছিল, তখন বিএমএ নির্বাচন ছিল সামনে। এই আইনে চিকিৎসকদের স্বার্থ সংরক্ষণ হবে না বলে তখন চাপ দেওয়া হয় মন্ত্রীকে। তিনি আর এনিয়ে আগালেন না, তখন থেকেই এটা অন্ধকারে রয়েছে।”
তখন চিকিৎসকদের মধ্য থেকে খসড়া আইনটির বিরোধিতা ছিল এই কারণে যে চিকিৎসক গ্রেপ্তার হওয়া ঠেকাতে আইনে স্পষ্ট কিছু নেই।
তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে ইকবাল আর্সলান বলেন, “তবে সেখানে এ নিয়ে স্পষ্ট করে বলাও ছিল চিকিৎসক গ্রেপ্তারের বিষয়টি কীভাবে হবে। তবুও বিরোধিতা ছিল। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, কিছু চিকিৎসকের বিরোধিতার জন্যই এই আইন এখনও অন্ধকারে।”
বিএমএর বর্তমান মহাসচিব ইহতেশামুল হক চৌধুরী সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “মূল সমস্যা তৈরি করেছেন জাহিদ মালেক। তিনি একের পর এক এ নিয়ে সময়ক্ষেপণ করেছেন।
“তিনি একের পর এক মতামতের জন্য কমিটি গঠন করেছেন, অথচ অনলাইনে সব মতামত নিয়েই (ভেটিং) আমরা আমাদের কাজ শেষ করেছিলাম।”
নাসিম যখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, তখন জাহিদ মালেক ছিলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, পরে তিনি পূর্ণ মন্ত্রী হন।
এবিষয়ে জানতে জাহিদ মালেকের মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। আন্দোলনে সরকার পতনের পর অধিকাংশ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীই অপ্রকাশ্যে রয়েছে।
গত জানুয়ারিতে ডা. সামন্ত লাল স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর আইনটি চূড়ান্ত করতে উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তিনি একাধিক বৈঠকও করেন এনিয়ে।
গত ১ মে এক অনুষ্ঠানে সামন্ত লাল বলেছিলেন, “আমরা চিকিৎসক সুরক্ষা আইন পাস করাব।”
এরপর গত ৮ জুলাইয়েও আরেক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, “আমি যেমন চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করব, রোগীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করাও আমার দায়িত্ব। আমি চিকিৎসকেরও মন্ত্রী, রোগীদেরও মন্ত্রী। দুজনের সুরক্ষা নিশ্চিত করার একমাত্র পন্থা হলো স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন। আমি কথা দিচ্ছি, যেভাবেই হোক স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন জাতীয় সংসদে পাস করাব।”
গত ৩ এপ্রিল প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়, যাতে সভাপতিত্ব করেন সামন্ত লাল সেন।
সেই সভার কার্যবিবরণীতে দেখা যায়, আইনটি দ্রুত চূড়ান্ত করার তাগিদ দিয়ে যাচ্ছিলেন সামন্ত লাল।
খসড়া আইনটি পরিমার্জন করে সুপারিশ দিতে তখন একটি কমিটি করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (আইন) আহ্বায়ক করে ১০ সদস্যের সেই কমিটি গঠিত হয়েছিল।
খসড়ায় আপত্তি কোথায়
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় প্রস্তাবিত খসড়াটি নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন বিএমএর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মহাসচিব ইহতেশামুল হক চৌধুরী।
তারা বলেছিলেন, বিএমএর পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব করা হয়েছিল, তা প্রস্তাবিত খসড়ায় নেই। ফলে এটা আইন হলে চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে না।
ইহতেশামুল হক চৌধুরী সেই সভায় বলেছিলেন, চিকিৎসকদের সুরক্ষা উপেক্ষা করে আইন প্রণয়ন করা হলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং এর দায়িত্ব বিএমএ নেবে না।
চিকিৎসকদের পক্ষের সুপারিশগুলো কী ছিল- জানতে চাইলে তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “চিকিৎসকদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে গ্রেপ্তার করা যাবে না। সঙ্গে যে কোনও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে পরিদর্শনে যাওয়া দলে চিকিৎসক রাখতে হবে। কারণ, চিকিৎসক ব্যতিত কোনও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের দূর্বলতা অন্য কারও পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়।”
চিকিৎসকদের গ্রেপ্তার ঠেকানোর বিষয়টিও খসড়া আইনে নেই জানিয়ে তিনি এক্ষেত্রে ভারতের উদাহরণ টেনে বলেন, “ভারতের পেনাল কোডে স্পষ্ট করে উল্লেখ রয়েছে, সেখানে কারও অভিযোগের ভিত্তিতে চিকিৎসককের গ্রেপ্তার করা যায় না, সে ঘটনার তদন্ত করবে বিশেষজ্ঞ কমিটি, তারা আদালতে সে রিপোর্ট জানাবে, আদালত যদি মনে করেন, তাহলে সেটা আমলে নিয়ে গ্রেপ্তার করার অনুমতি দেবেন।
“আমাদের ‘আর্গুমেন্ট’ মূলত এটাই ছিল, কেউ অভিযোগ করলেই পুলিশ চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করতে পারবে না।”
বিএমএর প্রস্তাবে চিকিৎসক ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলা হয়েছিল। চিকিৎসকদের হামলা করা হলে সর্বনিম্ন ছয় মাস এবং সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ডের সুপারিশ ছিল। আর ভাংচুরের শাস্তি নির্ধারণের সুপারিশ ছিল যন্ত্রপাতি ভাঙার ওপর।
খসড়া নিয়ে আপত্তি থাকলেও গত এপ্রিলে গঠিত কমিটির গত জুলাইয়ের এক বৈঠকে এসব বিষয়ে সুরাহা হয়েছিল বলে জানান ডা. ইহতেশামুল।
তিনি বলেন, “এগুলো সব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। আর কোনও অভিযোগ বা অবজেকশন আমাদের ছিল না, অলমোস্ট সব রেডি ছিল। কেবল কেবিনেটে যাওয়াটাই বাকি ছিল। কিন্তু সেটাও সরকার পতনের সঙ্গে সঙ্গে আটকে গেল।”
বর্তমানে খসড়াটির কী অবস্থা জানতে চাইলে স্বাস্থ্য সচিব এম এ আকমল হোসেন আজাদ সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আইনটি চূড়ান্ত পর্যায়ে আছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এটা কেবিনেটে পাঠাব।”