বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল।
শনিবার বিকালে গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে এই রুদ্ধদার বৈঠক হয় প্রায় ঘণ্টাব্যাপী। তবে বৈঠক থেকে বেরিয়ে এ সম্পর্কে কিছুই বলতে রাজী হননি দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। সাংবাদিকরা বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করলেও, তার কাছ থেকে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সদস্যদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের এক্স হ্যান্ডলে বৈঠক পরবর্তী ছবি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিরোধী দলের হাজারও কারাবন্দী নেতাকর্মীর বিষয়ে বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। সামনের দিনগুলোতেও বিএনপির সঙ্গে এই যোগাযোগ অব্যাহত থাকবে।
তবে বৈঠকে কী বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু জানায়নি দূতাবাসও।
বৈঠকের পর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “উনারা আমাদেরকে ইনভাইট করেছেন, আমরা এসেছি, কথা-বার্তা বলেছি। এতটুকুই বলতে পারবো। এর বেশি কিছু বলার নেই।”
কী কথা হয়েছে তা জানতে চাইলে বলেন, “উনারা দাওয়াত করেছেন, আমরা এসেছি। দ্যাটস অল।”
বৈঠকে বিএনপি কী বলেছে তা জানতে চান সাংবাদিকরা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কোনও কথা হয়েছে কিনা, তাও জানতে চাওয়া হয়।
সব প্রশ্নের জবাবেই আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “একটাই উত্তর হবে, কিছু বলার নেই।”
এমনকি মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর কারাবাস প্রসঙ্গে কোনও কথার হয়েছে কিনা, সে প্রশ্নের জবাবও দেননি বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, “আপনারা যত প্রশ্ন করবেন, আমার উত্তর হচ্ছে কিছু বলার নেই।”
বৈঠকে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামা ওবায়েদও উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের বিশেষ সহকারী ও এনএসসির দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল বিষয়ক সিনিয়র ডিরেক্টর এলিন লাউবাকের, ইউএসএআইডির এশিয়া বিষয়ক ব্যুরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর মাইকেল শিফার এবং ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয় ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আক্তার।
বৈঠক শেষে দলটির কোনও সদস্যই গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেননি।
এর আগে সকালেই ঢাকায় পৌঁছে আফরিন আক্তারসহ যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলটি।
এর আগে গত বছরের ১৬ অক্টোবর ঢাকায় এসেছিলেন আফরিন আখতার। সেসময় বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পও পরিদর্শন করেন।