পাকিস্তানে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মেহেদী হাসান মিরাজের। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সিরিজসেরার প্রাইজমানি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রিকশাচালকের পরিবারকে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মিরাজ।
প্রথম টেস্ট চলার সময়ই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রিকশাচালকের পরিবারের জন্য কিছু করার। সেই রিকশাচালকের ছেলের কান্না দেখে নিজের ছেলের কথা মনে পড়েছিল তার। বিসিবি প্রকাশিত ভিডিওতে এ নিয়ে মিরাজ বললেন, ‘‘প্রথম টেস্টের শেষ দিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখেছিলাম একটা ছেলে কান্না করেছে। ছেলেটার বয়স আমার ছেলের বয়সের মতোই। ‘আমার বাবা মারা গেছেন নামাজ পড়তে গিয়ে, গুলি খেয়ে মারা গেছেন, আমি রক্ত দেখেছি। আমার বাবা ফিরে আসে না’—ওই কথাগুলো আমার এখনো কানে বাজে।’’
তখনই মিরাজ সিদ্ধান্ত নেন পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর। সিরিজ সেরা না হলেও মিরাজ পরিবারটির জন্য কিছু করতেন বলে জানালেন ভিডিওতে। সিরিজ সেরা হওয়ায় পুরস্কারের ৫ লাখ রুপি সেই পরিবারটিকে দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।
এ নিয়ে ভিডিওতে বললেন, ‘‘আমার খুব খারাপ লেগেছিল। তখনই নিয়ত করেছিলাম। ম্যানন অব দ্য সিরিজ হব কি না, তা তো জানতাম না। তবে দেশে এসে ওদের সাহায্য করব, সেটা তখনই নিয়ত করেছি। যেহেতু ম্যান অব দ্য সিরিজ হয়েছি, সেটাই আমি উৎসর্গ করে দিয়েছি।’’