ছাত্র-গণঅভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণে বিশেষ সভা করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার একটি সম্মেলন কেন্দ্রে এই স্মরণসভার আয়োজন করা হবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সভা শেষে এই সিদ্ধান্তের করা জানান অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। অর্থনৈতিক বিষয়াদি সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির দ্বিতীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খবর বাসস
উপদেষ্টা জানান, ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কক্ষে (বিআইসিসি) অনুষ্ঠেয় এ আয়োজনে সর্বোচ্চ পাঁচ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ হোসেন স্মরণসভার প্রস্তুতির বিষয়টি দেখছেন জানিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “স্মরণ সভা আয়োজন করতে কিছু ব্যয় সম্পৃক্ত থাকবে। ‘ডিরেক্ট প্রকিউরমেন্ট মেথডে’ এসব প্রয়োজনীয় ক্রয় সম্পন্ন হবে। বৈঠকে এ লক্ষ্যে একটি প্রস্তাবের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
স্মরণ সভায় আন্দোলনে নিহতদের পরিবারের সদস্য ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকতে পারেন বলেও জানানো হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয় জুলাইয়ের শুরুতে। শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের এই আন্দোলন ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংসতায় রূপ নেয়।
পরের দিন সারাদেশে ছয় জনের মৃত্যু হলে বিক্ষোভ ব্যাপক আকার ধারণ করে। বাড়তে থাকে সংঘাত, সহিংসতা এবং প্রাণহানি।
শুরুতে পুলিশের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় কারফিউ জারি করে সেনা মোতায়েন করে তৎকালীন সরকার। তবে এতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। তীব্র আন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত পতন ঘটে সরকারের। গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।
আন্দোলনের সমন্বয়কদের দাবি, প্রায় দেড়মাসে অন্তত এক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়ের হিসাব অনুযায়ী সহিংসতায় অন্তত ৬৫০ জন নিহত হয়েছে।