২০২২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। এই দিনেই সর্বশেষ হারের মুখ দেখেছিল কলম্বিয়া। পরের সময়টা হয় জয় কিংবা ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা। দুর্দান্ত এই পথচলায় দলটি পৌঁছে গেছে কোপা আমেরিকার ফাইনালে। টানা ২৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকা কলম্বিয়াকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকাই স্বাভাবিক। যদিও লিওনেল মেসি জানালেন, ফাইনালের আগে কোনও চাপ অনুভব করছেন না তিনি।
২০২২ সালের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে কলম্বিয়া সর্বশেষ হেরেছিল এই আর্জেন্টিনার বিপক্ষেই। ১-০ গোলের হারের পর পাল্টে যায় চিত্র। অপরাজিত থেকে নিজেদের ফুটবলে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বর্তমানে কোচের দায়িত্ব সামলানো নেস্তোর লরেঞ্জোর অধীনে কোনও ম্যাচ হারেনি। অজেয় থাকায় এই যাত্রায় কোপার ফাইনাল জিতলেই পূর্ণতা পাবে কলম্বিয়ার পারফরম্যান্স।
এবারের কোপা আমেরিকার অন্যতম ফেভারিট ছিল উরুগুয়ে। এই দলটিকে সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে কলম্বিয়া। এবারের আসরে গ্রুপ পর্বে ব্রাজিলকেও জিততে দেয়নি। এমন একটি দলের বিপক্ষে ফাইনালের আগে নির্ভার থাকার সুযোগ নেই।
শিরোপা ধরে রাখার মিশনে আর্জেন্টিনা নির্ভার নেইও। কলম্বিয়াকে সমীহ করছেন অধিনায়ক মেসি, “আমরা উরুগুয়ে-কলম্বিয়া ম্যাচটি দেখেছি। আমরা জানতাম দুটি দলই কঠিন। এক দলের বিপক্ষে আরেক দলের কঠিন লড়াই হবে। কলম্বিয়া লম্বা সময় ধরে হারেনি, এতেই প্রমাণ হয় তারা ভালো দল।”
সঙ্গে যোগ করেছেন, “তাদের প্রত্যেকটি বিভাগে খুবেই ভালো খেলোয়াড় আছে। দুর্দান্ত স্ট্রাইকারদের নিয়ে সাজানো আক্রমণভাগ দ্রুতগতিতে আক্রমণে ওঠে।”
তবে কলম্বিয়াকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করছেন না মেসি। তার বক্তব্য, “এটা ফাইনাল। ফাইনাল সবসময় একটু আলাদা ম্যাচ হয়। তবে সত্যি হলো আমি শান্ত আছি। ম্যাচে নামার অপেক্ষায় আছি এবং অন্য ম্যাচের মতোই এটাকে (ফাইনাল) দেখছি।”
এবার দিয়ে টানা তৃতীয় ফাইনাল খেলছে আর্জেন্টিনা। ২০২০ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালির বিপক্ষে খেলা ফিনালিসিমা ধরলে চারটি ফাইনাল। আগের তিনটিই জিতেছে আর্জেন্টিনা। চতুর্থ ফাইনালের আগে মেসির মানসিক অবস্থা কেমন? সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী বললেন, “ইতিমধ্যে আমি সবকিছুর (ফাইনালের) অভিজ্ঞতা নিয়েছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে এখন আমি অনেক শান্ত। এখন আমি প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করার চেষ্টা করি।”