Beta
সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৫

মেসি না খেলায় টাকা ফেরতের দাবি, আয়োজকরা কী বলছে

হংকংয়ের ম্যাচে বেঞ্চে ছিলেন লিওনেল মেসি। ছবি: টুইটার
হংকংয়ের ম্যাচে বেঞ্চে ছিলেন লিওনেল মেসি। ছবি: টুইটার
[publishpress_authors_box]

অনেক আশা নিয়ে মাঠে এসেছিলেন হংকংয়ের ফুটবল ভক্তরা। গ্যালারিতে বসে উপভোগ করবেন লিওনেল মেসির খেলা। কিন্তু ইন্টার মায়ামির জার্সিতে মাঠেই নামলেন না আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। গোটা ম্যাচে বসে থাকলেন ডাগ আউটে। যার জন্য গাঁটের টাকা খরচ করে স্টেডিয়ামে এসেছিলেন, সেই প্রিয় খেলোয়াড়ের খেলা দেখতে না পেরে রেগে আগুন দর্শকেরা। মেসি না খেলায় টাকা ফেরতের দাবি তুলেছেন হংকংয়ের মেসিভক্তরা।

রবিবার প্রীতি ম্যাচে মায়ামি ৪-১ গোলে হারিয়েছে হংকং একাদশকে। মেসি খেলবেন, এই আশায় হংকং স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছিল প্রায় ৪০ হাজার দর্শক। কিন্তু মেসি মাঠে নামেননি। হ্যামিস্ট্রিং ইনজুরিতে ছিলেন বেঞ্চে। বিশ্বকাপজয়ী তারকার খেলা দেখতে না পেরে দর্শকেরা বেজায় চটেছেন। সেকারণেই কিনা ম্যাচ শেষে ইন্টার মায়ামির অন্যতম মালিক ডেভিড বেকহাম কথা শুরু করতেই গ্যালারি উত্তাল হয়ে ওঠে ‘আমরা টাকা ফেরত চাই’ স্লোগানে!

হংকং সরকার জানিয়েছে, মেসির অন্তত ৪৫ মিনিট খেলার কথা ছিল। এজন্যই দেশটির সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও পর্যটন সচিব কেভিন ইয়াং বারবার বলেছেন, মেসি খেলবেন। তাদের জানানো হয়েছিল, চোটের কারণে হয়তো শেষের ১০ মিনিট খেলতে পারবেন না সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড। যদিও কথা আর কাজের মিল হয়নি।

ইয়াং বলেছেন, “আমরা বিষয়টি সমাধানে দ্রুত অন্য পথ খোঁজার চেষ্টা করেছি। মেসিকে মাঠে এনে ভক্তদের সঙ্গে কথা বলতে বলেছি এবং তার হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, আপনারা সবাই দেখেছেন এর কোনোটাই কাজে আসেনি।”

হংকং সরকারের স্পোর্টস ইভেন্ট কমিটি (এসএসইসি) হতাশ প্রকাশ করেছে, “মেসি এই ম্যাচ না খেলায় আয়োজকদের আয়োজনে ফুটবল ভক্তদের সঙ্গে সরকারও ভীষণ হতাশ।”

মেসির খেলা দেখতে হংকং স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছিল ৩৮ হাজার ৩২৩ জন দর্শক। এদের প্রত্যেকে টিকিটের পেছনে খরচ করেছেন ১ হাজার হংকং ডলারের বেশি। বাংলাদেশ মুদ্রায় প্রত্যেক টিকিটের দাম পড়েছে ১৪ হাজার টাকা।

ইন্টার মায়ামি-হংকং একাদশের ম্যাচটির আয়োজনের দায়িত্বে ছিল ট্যাটলার এশিয়া। এসএমইসি জানিয়েছে, এই ম্যাচ আয়োজনের জন্য হংকং সরকার আয়োজক প্রতিষ্ঠানকে ১৫ মিলিয়ন হংকং ডলার ও ভেন্যুর খরচ বাবাদ আরও ১ মিলয়ন হংকং ডলার অনুদান দিয়েছিল। সব মিলিয়ে মোট ১৬ মিলিয়ন হংকং ডলার।

যদিও ট্যাটলার এশিয়া নিশ্চিত করেছে, মেসি না খেলায় তারা এই অর্থের আর দাবি করবে না। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী মাইকেল লামুনিয়েরে বলেছেন, “দারুণ এক উপলক্ষ এভাবে হতাশাজনকভাবে শেষ হওয়ায় ট্যাটলার এশিয়ার খুব খারাপ লাগছে। সরকারের যে ১৬ লাখ হংকং ডলার অনুদান দেওয়ার কথা, আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সেটির আবেদনপত্র প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

ম্যাচের শুরুতেই মেসি ছিলেন না। হংকংয়ের দর্শকেরা আশায় ছিলেন একটু পরেই নামবেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। কিন্তু বিরতি পর্যন্তও তিনি না নামায় গ্যালারিতে ওঠে, ‘আমরা মেসিকে চাই’ আওয়াজ। ম্যাচটিতে শুধু মেসি নন, হাঁটুর ইনজুরিতে খেলেননি লুইস সুয়ারেসও।

আয়োজকরা বলছে, মেসি-সুয়ারেসের না খেলার বিষয়টি জানা ছিল না তাদের, “বেশ কিছু পত্রিকায় খবর এসেছিল (মেসি-সুয়ারেসের না খেলার)। তবে ট্যাটলারের কাছে এই ধরনের কোনও তথ্য ছিল না। মেসি ও সুয়ারেসের না খেলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাদের দলের মেডিক্যাল টিম। বিষয়টি অন্য সবার মতো আমাদেরও হতাশ করেছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত