ফল
ইপসউইচ ১ : ৪ ম্যানসিটি
ব্রাইটন ২ : ১ ম্যানইউ
অ্যাস্টন ভিলা ০ : ২ আর্সেনাল
টটেনহাম ৪ : ০ এভারটন
ফুলহাম ২ : ১ লেস্টার
গত এক যুগ ফুটবল শাসন করছেন লিওনেলে সেসি ও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো। তাদের উচ্চতায় পৌঁছানো কঠিন। তবে দুজনের গোল রেকর্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারেন আর্লিং হলান্ড। ইপসউইচ টাউনের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের পর হলান্ডকে নিয়ে এমন আশাবাদই জানালেন ম্যানচেস্টার সিটির কোচ পেপ গার্দিওলা।
হলান্ডের হ্যাটট্রিকে পিছিয়ে পড়েও ৪-১ গোলে জয়ের পর গার্দিওলা বললেন, ‘‘ও সলসবুর্গ আর জার্মানিতে এমনটা করে এসেছে (গোলের পর গোল)। ওর পরিসংখ্যান জঘন্য (খুব ভালো বোঝাতে)। গোলের ক্ষেত্রে হলান্ড প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে মেসি, রোনালদোর। এই বয়সে ওর পরিসংখ্যান অবিশ্বাস্য। আশা করছি ও এখানে আরও অনেক বছর থাকবে।’’
নরওয়ে ইউরোয় সুযোগ পায়নি। তাই হলান্ড আরও সতেজ হয়ে নতুন মৌসুম শুরু করেছেন। এরই সুফল পাচ্ছে ম্যানসিটি। ক্লাবের হয়ে তিনি করলেন ১০ম হ্যাটট্রিক। ১০১ ম্যাচে গোল ৯৪টি, আর প্রিমিয়ার লিগে ৬৮ ম্যাচে ৬৭টি। হলান্ড ম্যানসিটিতে যোগ দেওয়ার পর এত বেশি গোল পায়নি আর কেউ।
স্যামি স্মডিক্সের গোলে সপ্তম মিনিটে পিছিয়ে পড়েছিল ম্যানসিটি। এরপর ১২ থেকে ১৬- এই চার মিনিটে তিন গোল আদায় করে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় ম্যানসিটি। ১২ মিনিটে পেনাল্টি থেকে সমতা ফেরান হলান্ড। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড সাভিনিয়ো বক্সে ফাউলের শিকার হলে মনিটরে দেখে পেনাল্টি দেন রেফারি। প্রিমিয়ার লিগে ২৩ দলের মুখোমুখি হয়ে সবার বিপক্ষেই গোল পেলেন হলান্ড।
১৪তম মিনিটে ম্যানসিটিকে এগিয়ে নেন কেভিন ডি ব্রুইনা। ১৬ মিনিটে ব্যবধান ৩-১ করেন হলান্ড। মাঝমাঠ থেকে উঁচু করে বল বাড়িয়েছিলেন কেভিন ডি ব্রুইনা। গোলরক্ষক এসেছিলেন পোস্ট ছেড়ে, তবু বাঁচাতে পারেননি দলকে। ৮৮ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন হলান্ড।
প্রিমিয়ার লিগের অপর ম্যাচে ব্রাইটনের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। অ্যাস্টন ভিলাকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল আর এভারটনকে ৪-০ গোলে বিথ্বস্ত করেছে টটেনহাম।
ড্যানি ওয়েলবেকের গোলে ৩২ মিনিটে পিছিয়ে পড়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ৬০ মিনিটে সমতা ফেরান পর আমাদ দিয়ালো। বক্সে ঢুকে একজনকে কাটিয়ে দূরের পোস্টে নেওয়া দিয়ালোর শট ডিফেন্ডার ইয়ান পলের হাঁটুতে লেগে দিক বদলে জড়ায় জালে।
ইনজুরি টাইমের পঞ্চম মিনিটে বক্সে সতীর্থের উঁচু করে বাড়ানো বল পেয়ে, বিনা বাধায় নেওয়া কোনাকুনি হেডে ব্রাইটনকে ২-১ ব্যবধানের জয় এনে দেন পেদ্রো।