“রোনালদো খেলছেন না বলে কি মেসিও মাঠে নামবেন না”- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন পোস্ট আসতে থাকে। ইন্টার মায়ামি ৬ গোল হজম করার পরও কেন মেসি বেঞ্চে বসে- প্রশ্নটা জমাট বাঁধে। অবশেষে ৮৩ মিনিটে, ম্যাচ শেষ হওয়ার ৭ মিনিট আগে মাঠে নামেন মেসি।
প্রশ্ন হলো, ৬ গোলে পিছিয়ে থাকারও পরও কেন মেসি এত দেরিতে নামলেন? ইএসপিএন এফসির সাংবাদিক লিও পারাদিজো জানিয়েছেন, এই ম্যাচে মেসির খেলারই কথা ছিল না। এমনকি ম্যাচ শুরুর আগে ইন্টার মায়ামির যে দলটি দেওয়া হয়েছিল, সেখানে মেসির নাম ছিল না। কারণটা ইনজুরি। কয়েকদিন ধরেই চোট নিয়ে অস্বস্তিতে ছিলেন, ফলে আল নাসর ম্যাচ খেলতে চাননি আর্জেন্টাইন তারকা। তবে আয়োজকদের সঙ্গে প্রতিশ্রুতি থাকায় শেষের ৭ মিনিট বাধ্য হয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি।
Atención: Otra vez, #Messi tiene molestias en el bíceps femoral. Está en duda su presencia en Inter Miami vs Al-Nassr. No está descartado. Si juega, es por el compromiso contractual. Se está decidiendo. pic.twitter.com/42ut6u3uYz
— Leo Paradizo (@leoparadizo) February 1, 2024
একটা সময় নিয়মিত দেখা হতো তাদের। দেখা বলতে, মাঠের লড়াইয়ে একে অন্যের মুখোমুখি। লিওনেল মেসি ছিলেন বার্সেলোনায় আর ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদের। ইতিহাসগত ভাবেই ক্লাব দুটির দ্বৈরথ আলাদা উত্তাপ বহন করতো, সেখানে মেসি-রোনালদোর ব্যক্তিগত দ্বৈরথ আরও আকর্ষণীয় করে তুলতো। সময়ের পালাবদলে তাদের আর দেখা হয় না বললেই চলে। এবার যখন আরেকটা সুযোগ তৈরি হলো, তখন দুজন থাকলেন দুই মেরুতে!
মেসি এখন মেজর লিগ সকারের দল ইন্টার মায়ামিতে খেলেন। রোনালদোর ঠিকানা সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে। এই দল দুটি প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল সৌদির রাজধানী রিয়াদে। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বসেরা দুই খেলোয়াড়ের মাঠের লড়াই উপভোগের সুযোগ তৈরি হয়। কিন্তু রোনালদোর চোট আগেই নিশ্চিত করে রেখেছিল, অন্তত মাঠে দেখা হচ্ছে না তাদের।
বৃহস্পতিবার রাতের ম্যাচে অবশ্য রোনালদোকে ছাড়াই নিজেদের শক্তির জানান দিয়েছে আল নাসর। দলের সেরা খেলোয়াড়কে বাইরে রেখেই মেসির ইন্টার মায়ামিকে উড়িয়ে দিয়েছে ৬-০ গোলে। গ্যালারিতে বসে সতীর্থদের প্রত্যেকটি গোল উপভোগ করেছেন রোনালদো। কখনও করতালি, কখনও লাফিয়ে গোল উদযাপন করেছেন চোটাক্রান্ত পর্তুগিজ তারকা।
তার না খেলার বিষয়টি জানা গিয়েছিল আগেই। কিন্তু মেসির খেলা কথা ছিল। যদিও মায়ামির শুরুর একাদশে তিনি ছিলেন না। বসে ছিলেন বেঞ্চে। মায়ামি একের পর এক গোল খাচ্ছিল, মেসির চোখমুখে হতাশার ছাপ তত বসছিল। প্রথমার্ধ পেরিয়ে যায়, ৬০, ৭০ এমনকি ৮০ মিনিট পেরিয়ে যায় তবু মাঠে নামেন না আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। অবশেষে ৮৩ মিনিটে বদলি হয়ে মাঠে নামেন সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড।