লিওনেল মেসির সঙ্গে একটি শিশুর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল রীতিমতো। একটি শিশুকে বাথটবে বসিয়ে গোসল করাচ্ছেন ২০ বছর বয়সের মেসি। মেসির কোলের ওই শিশুটিই আজকের লামিনে ইয়ামাল। ইউরোর সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে ২৫ গজ দূর থেকে গোল করার পর গ্যারি লিনেকার যাকে নিয়ে বলেছেন, ‘‘নতুন সুপারস্টারের জন্ম হলো।’’
ইউরো, কোপা বা বিশ্বকাপের মতো মর্যাদার টুর্নামেন্টে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে এই গোলটা করেছেন ১৬ বছরের ইয়ামাল। ভেঙেছেন পেলের রেকর্ড। তবে গোলের আগেই মেসির কোলে তার ছবিটা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। যে ক্লাব একসময়ে ছিল মেসির যৌবনের উপবন, সেই ক্লাবের হয়ে এখন স্বপ্ন দেখাচ্ছেন ইয়ামাল।
দুই তারকার দেখা হয়েছিল সেই ২০০৭ সালে। সেই সময়ে কি মেসি নিজেও জানতেন, এই শিশুই বড় হয়ে বল পায়ে মুগ্ধতা ছড়িয়ে যাবেন!
ইয়ামালের বাবা মৌনির নাসরাউই গত সপ্তাহে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন মেসি ও ইয়ামালের ছবিটা। ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘দ্য বিগিনিং অফ টু লিজেন্ডস।’ মানে দুই কিংবদন্তির শুরু। আরেকটি ছবিতে দেখা যায়, কয়েকমাস বয়সের ইয়ামাল প্লাস্টিকের বাথটবে রয়েছে। হাসিমুখে থাকা মেসি শিশু ইয়ামালের হাত ধরে রয়েছেন। পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন ইয়ামালের মা।
ফটোগ্রাফার জোয়ান মনফোর্ট সেই ছবি তোলেন। মনফোর্ট এ নিয়ে জানালেন, ‘‘বার্সেলোনার ফুটবলাররা স্থানীয় সংবাদপত্র দিয়ারিও স্পোর্ট এবং ইউনিসেফের বার্ষিক চ্যারিটি অনুষ্ঠানের অংশ হিসাবে শিশু ইয়ামাল এবং তার পরিবারের সঙ্গে ছবি তুলেছিল। শিশু ইয়ামালকে কীভাবে ধরতে হবে, সেটা প্রথমে জানতই না মেসি। ও খুব অন্তর্মুখী স্বভাবের।”
মেসি তখন সদ্য কৈশোরে। ঠিক আজকের ইয়ামালের মতোই। তখন কে আর জানতেন মেসি আর শিশু ইয়ামালের এই ছবিটাই ফুটবলবিশ্বে আলোচনার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
