ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) উত্তরা ডিপোতে অবস্থিত ৭ হাজার ৫৮০ বর্গফুটের স্টাফ ক্যান্টিন মাত্র এক হাজার টাকায় ভাড়া দেওয়ার ঘটনা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “মেট্রোরেলের এই নোটিস দেখে আমি হতবাক হয়ে যাই। পরে নোটিসটি সংগ্রহ করে বিষয়টি নিয়ে একটা আইনি নোটিস পাঠাই। কিন্তু নোটিসের কোনও জবাব না পেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করি।
“আদালত রিটের শুনানি নিয়ে এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ভাড়ার ওই নোটিসটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে এ ঘটনা নিয়ে এক মাসের মধ্যে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।”
গত ১৪ মার্চ ডিএমটিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (স্টোর ও প্রকিউরমেন্ট) মো. নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ক্যান্টিন পরিচালনার জন্য ভাড়া সংক্রান্ত নোটিস প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভাড়া হিসেবে মাসিক এক হাজার টাকা হারে এক বছরের জন্য ভ্যাট ও আয়কর ব্যতীত সর্বমোট ১২ হাজার টাকায় ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনাধীন এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা ডিপোতে অবস্থিত ৭ হাজার ৫৮০ বর্গফুট স্টাফ ক্যান্টিন পরিচালনার উদ্দেশ্যে ১ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে দাখিলকৃত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান খন্দকার এন্টারপ্রাইজের দরপত্রটি গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হয়েছে।
এই নোটিস জারির সাতদিনের মধ্যে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে তিন বছরের জন্য চুক্তি সম্পাদন করতে সম্মত রয়েছেন মর্মে লিখিতভাবে জানাতে বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
সেই নোটিস চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।