সাতদিনের মধ্যে আবার চলাচল শুরু করবে মেট্রোরেল। সরকারের নির্দেশনা পেয়ে এরই মধ্যে শুরু হয়েছে তার প্রস্তুতি।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতার মধ্যে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার পর থেকে বন্ধ রয়েছে ঢাকার মেট্রোরেল চলাচল।
ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সুর্নিদিষ্ট তারিখ নির্ধারণ না হলেও আগামী সাতদিনের মধ্যে শুরু হবে মেট্রোরেল চলাচল। তবে মিরপুর ১০ নম্বর এবং কাজীপাড়া স্টেশন বন্ধ থাকবে।
রবিবার মেট্রোরেল চালুর নির্দেশনা এসেছে জানিয়ে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, “আমরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছি। এর অংশ হিসেবে ব্লাঙ্ক অপারেশন (যাত্রীবিহীন ট্রেন চলাচল) শুরু করব। তাছাড়া নিরাপত্তাসহ আরও কিছু বিষয়ে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
“আশা করি সর্বোচ্চ সাতদিনের মধ্যে মেট্রোরেল চলাচল করানো যাবে। তবে ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন থেকে যাত্রী ওঠানামা করবে না।”
ডিএমটিসিএলের আরেক কর্মকর্তার কাছ থেকে জানা যায়, রবিবার বিকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সচিবদের বৈঠকে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী মেট্রোরেলের বিষয়টি তুলে ধরেন। তখনই মেট্রোরেল দ্রুত চালুর নির্দেশনা দেন প্রধান উপদেষ্টা। তারপরই ডিএমটিসিএলের বিভিন্ন বিভাগে প্রস্তুতি শুরু হয়।
এরই অংশ হিসেবে রবিবার হেঁটে হেঁটে মেট্রোরেল পথের পুরোটা পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। নিরাপত্তাসংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয় যাচাই করা হবে সোমবার। পরদিন মঙ্গলবার ব্লাঙ্ক অপারেশন শুরু হতে পারে। এরপরই মেট্রোরেল যাত্রী পরিবহন শুরু করবে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সহিংসতার মধ্যে গত ১৮ জুলাই মিরপুর–১০ নম্বর গোলচত্বরে পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করা হয়। সেদিন বিকাল পাঁচটায় মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেয় ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ। এর পরদিন ১৯ জুলাই মেট্রোরেলে মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়।