Beta
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

পুরোনো গুদামে পাওয়া গেল মাইকেল জ্যাকসনের অপ্রকাশিত গান

Micheal jackson feature
[publishpress_authors_box]

পপ কিংবদন্তি মাইকেল জ্যাকসনের অপ্রকাশিত কিছু গান হঠাৎ খুঁজে পাওয়া গেছে। পুরোনো এক স্টোরেজ ফ্যাসিলিটিতে (ভাড়ায় নেয়া যায় এমন গুদাম) সেগুলো খুঁজে পেয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার এক প্রাক্তন পুলিশ অফিসার। অবশ্য ৫৬ বছর বয়সী মুসগ্রোভ কল্পনাই করেননি যে, এমন কিছু তিনি খুঁজে পাবেন।

সম্প্রতি মুসগ্রোভ এক সহকর্মী পুরোনো এক স্টোরেজের কথা তাকে জানায়। স্টোরেজটির মালিক ছিলেন ব্রায়ান লরেন নামের এক সঙ্গীত প্রযোজক। মুসগ্রোভ তার সহকর্মীর কিনে নেওয়া ওই স্টোরেজের জঞ্জাল সরাতে গেলে বেরিয়ে আসে বহুদিনের চাপা পরে থাকা অমূল্য সব রেকর্ড। সান ফার্নান্দো ভ্যালির ওই স্টোরেজে যে এমন মূল্যবান কিছুর সন্ধান পাবেন, তা ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি মুসগ্রোভস।  তিনি সেখানে স্রেফ পুরোনো ব্যবহার্য জিনিসের খোঁজে গিয়েছিলেন।

স্টোরেজে পাওয়া মাইকেল জ্যাকসন এবং ব্রায়ান লরেনের কিছু ক্যাসেট।

মুসগ্রোভের হাতে আসা টেপগুলিতে রয়েছে ১২টি অপ্রকাশিত গান। ধারণা করা হচ্ছে গানগুলো মাইকেল জ্যাকসনের ‘ডেইঞ্জারাস’  অ্যালবাম রিলিজের আগেই রেকর্ড করা। সময়কাল ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১।

এ প্রসঙ্গে মুসগ্রোভ দ্য হলিউড রিপোর্টার-কে বলেন, “আমি মাইকেল জ্যাকসনের সব ফ্যান সাইট ঘুরে দেখেছি। কিছু গান সম্পর্কে গুজব আছে যে, সেগুলো সত্যিই রিলিজ পেয়েছিল, আর কিছু গান স্রেফ ফাঁস হয়ে গেছে। কয়েকটি গান তো বিশ্বের কোথাও প্রকাশিত হয়নি।”

মুসগ্রোভের হাতে আসা অপ্রকাশিত গানগুলোর ভেতর একটি গানের শিরোনাম ডোন্ট বিলিভ ইট। গণমাধ্যমে মাইকেল জ্যাকসনকে নিয়ে প্রায়ই ছড়িয়ে পড়তো গুজব। এই গানের কথাগুলো সেই গুজব ছড়ানোর ঘটনাকেই ইঙ্গিত করে। গানটির সুর এবং স্টাইল পুরোপুরি মাইকেল জ্যাকসনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।

লরেনের স্টোরেজে খুঁজে পাওয়া কিছু পুরোনো ক্যাসেট

মাইকেল জ্যাকসনের অন্ধ ভক্তদের কপাল খারাপই বলতে হবে। কারণ, খুব সম্ভবত মুসগ্রোভই একমাত্র ব্যক্তি যিনি এই টেপগুলো শুনতে পারছেন।

এদিকে তিনি এবং তার আইনজীবী অপ্রকাশিত এই গানগুলোর ব্যাপারে জ্যাকসন এস্টেটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এই বিষয়ে মুসগ্রোভ জানায়, এস্টেট টেপগুলো কেনার প্রস্তাবনা গ্রহণ করেনি, তবে তারা একটি আনুষ্ঠানিক চিঠিতে জানিয়েছে, ক্যাসেটগুলোর মালিকানাও তারা দাবি করে না।

তবে চিঠিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, মুসগ্রোভ বা যেকোনো ব্যক্তি যারা ভবিষ্যতে এই টেপগুলো কিনবেন, তারা কেউই রেকর্ডিং বা গানের কপিরাইটের মালিক হবেন না। কপিরাইট থাকবে এস্টেটের অধীনে। মূলতঃ এই টেপগুলো কখনই জনসাধারণের জন্য প্রকাশিত হবে না।

এস্টেট আরও জানিয়েছে, এই ট্র্যাকগুলো নতুন কিছু নয়, কারণ গানগুলোর মাস্টার রেকর্ডিং বর্তমানে এস্টেটের ভল্টেই সংরক্ষিত আছে।

মুসগ্রোভ এখন ক্যাসেটগুলো নিলামে তোলার কথা ভাবছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত