Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪
Beta
সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

লাশ দাফনের কোনও তথ্য প্রমাণ দিতে পারেননি মিল্টন : ডিবি

db-harun-9-5-24
Picture of প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতিবেদক, সকাল সন্ধ্যা

প্রতারণা ও নানা অনিয়মের অভিযোগে গ্রেপ্তার মিল্টন সমাদ্দার দাবি করা ৯০০ লাশ দাফনের কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি। মানুষের সহানুভূতি ও টাকা পাওয়ার জন্যই তিনি মরদেহের সংখ্যা বাড়িয়ে বলতেন বলে স্বীকার করেছেন।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ মিন্টু রোডের ডিবি কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

চারদিনের রিমান্ড শেষে এদিন ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করা হয়। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে ডিবি পুলিশ।

ডিএমপির ডিবি প্রধান বলেন, “মানুষের সহানুভূতি ও টাকা পাওয়ার জন্য ৯০০ লাশ দাফন করা হয়েছে উল্লেখ করে ভিডিও করতেন মিল্টন। তার কাছে আমরা জানতে চেয়েছি এসব লাশ কোথায় কবর দেওয়া হয়েছে। পরে সে ১৩৫টি লাশ দাফনের কথা স্বীকার করে।”

“মানুষের সহানুভূতি এবং টাকা পাওয়ার জন্যই দাফন করা লাশের সংখ্যা বাড়িয়ে বলে ভিডিও ফেসবুকে দিতেন তিনি। ডিবির কাছে একথা স্বীকার করেছেন। এমনকি ১৩৫টি লাশ কোথায় দাফন করা হয়েছে সে বিষয়েও কোনও তথ্য দিতে পারেননি মিল্টন সমাদ্দার।”

এ বিষয়ে আরও তদন্ত করা হবে উল্লেখ করে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, “অনাথ-অসহায় মানুষের ভিডিও ফেসবুকে দিয়ে সে মানুষের বিবেকে নাড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছে। মানুষজনও তাকে বিশ্বাস করে বিকাশ-নগদের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, এই আশ্রমে কোনও ডাক্তার সে রাখেনি। উল্টো সে নিজেই বিভিন্ন ‘অপারেশন’ করতো। তখন অসহায় মানুষগুলো আর্তনাদ করলে সে পৈশাচিক আনন্দ পেতো। এসব তথ্য আমরা বের করেছি। আরও কিছু তথ্য জানা বাকি আছে। প্রয়োজনে তাকে আবারও রিমান্ডে আনব।”

এ ঘটনায় তার (মিল্টন সমাদ্দার) স্ত্রীর কোনও সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে কি না জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, “প্রয়োজনে তার স্ত্রীকে আবারও জিজ্ঞাসার জন্য ডাকব।”

বর্তমানে চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের দায়িত্ব একটি ফাউন্ডেশন বহন করছে বলেও জানান তিনি। হারুন বলেন, “আমরা দেখেছি মানুষের কাছ থেকে কোটি টাকা এনে নিজের অ্যাকাউন্টে রেখে দিয়েছে। কারা তাকে সহযোগিতা করেছে সেসব বিষয়ও আমরা বের করব। সমাজে আরও যারা এ ধরনের কাজ করছেন তাদের বিষয়ে আমরা খোঁজ খবর নিচ্ছি।”

গত ২৫ এপ্রিল একটি জাতীয় দৈনিকে মিল্টন সমাদ্দারের বিষয়ে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। এরপর গণমাধ্যম থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয় তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। আসতে থাকে বিভিন্ন অভিযোগের খবর। এরই এক পর্যায়ে প্রথমে ১ মে তাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে মিরপুর থানার করা মামলায় মিল্টনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কোটি ৬০ লাখের বেশি অনুসারী রয়েছে মিল্টন সমাদ্দারের। অভিযোগ রয়েছে, এই বিশাল অনুসারীদের কাজে লাগিয়ে তার মূল টার্গেট বিভিন্ন মানবিক কাজ প্রচার করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত