ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান দুলালের আইফোনটি চুরি হয়েছিল জামালপুরে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তা উদ্ধার করেছে মালয়েশিয়া থেকে। ছিনতাইকারী চক্রেরর ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে এই আইফোন উদ্ধার হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বুধবার ডিবি কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রীর আইফোন উদ্ধারের কথা জানান।
জামালপুরের ইসলামপুর পৌরসভার মোশাররফগঞ্জে গত ৩০ এপ্রিল একটি জানাজায় অংশ নেন ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান। তার ব্যবহৃত ফিফটিন প্রো ম্যাক্স মডেলের আইফোনটি সেখান থেকে চুরি হয়। তখন তার ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন জামালপুরের ইসলামপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
এরপর মন্ত্রীর মোবাইল ফোন উদ্ধারে কাজ শুরু করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার ক্রাইম অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন (উত্তর)।
তদন্ত ও আসামি গ্রেপ্তারের এক পর্যায়ে মোবাইলটি মালয়েশিয়া থেকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান হারুন। তিনি বলেন, মোবাইল ফোন চোর চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে ডিবি জানায়, জামালপুরে চুরি হওয়ার পর কয়েক হাত ঘুরে সেটি চলে যায় মালয়েশিয়ায়। মুন্না নামের এক ব্যক্তি ফোনটি চুরি করে হস্তান্তর করেন রাসেল নামের যুবকের কাছে। রাসেল সেটি ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন বোরহান নামের একজনের কাছে।
এরপর কামরুজ্জামান হিরু নামের আরেকজন বোরহানের কাছ থেকে ফোনটি নিয়ে পাঠিয়ে দেন মালয়েশিয়ায়। আসামিদের গ্রেপ্তারের পর এ চক্রের সদস্যদের মাধ্যমেই মালয়েশিয়া থেকে ফোনটি বাংলাদেশে আনা হয়।
এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে জাকির হোসেন (৪০), মাসুদ শরীফ (৪১), জিয়াউল মোল্লা জিয়া (৪৮), রাজিব খান মুন্না (২২), আল আমিন মিয়া (২০), আনোয়ার হোসেন ওরফে সোহেল (২৭), রাসেল (৩৮), খোকন আলী (৩৬) ও বিল্লাল হোসেন (৩৭) নামের ৯ জনকে।
তাদের হেফাজত থেকে বিপুল পরিমাণ ফোন উদ্ধারের কথা জানিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ বলেছে, এ চক্রের প্রধান জাকির। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি বা ছিনতাই হওয়া ফোনগুলো প্রথমে জাকিরের কাছে জমা হয়। জাকির সেগুলোর মধ্যে দামি ফোনগুলো কুরিয়ারের মাধ্যমে চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন মার্কেটে থাকা চক্রের সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেন। তারা সেগুলো এ চক্রের বিদেশে বিশেষ করে মালয়েশিয়া, ভারত ও দুবাইতে থাকা সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেন।
এ চক্রের অনেক সদস্য দেশের বাইরে অবস্থান করছে। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অন্তত ১০ হাজার ফোন চুরির কথা স্বীকার করেছে। ঢাকাতেও বেশ কিছু মার্কেটে তাদের সদস্যরা চোরাই মোবাইল বেচাকেনা করে বলে জানা গেছে।