এটা নতুন কিছু নয়। প্রতি সিরিজের পর ব্যাটিং ব্যর্থতার দায় মাথা পেতে নিতে হয় ক্রিকেটারদের। সংবাদ সম্মেলনে আসা ক্রিকেটার মেনে নেন ব্যাটারদের ভুল। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের টেস্টে ভালো করার আশার বেলুন ফোলান। তবে সেই বেলুন কখনই ফুলে থাকে না। প্রতি সিরিজেই ঠুস করে ফুটে যায়।
চেন্নাই, কানপুরের পর মিরপুরেই সেই ব্যাটিং ব্যর্থতায় সম্ভাবনার টেস্ট জয় এসেনি। টানা তিন টেস্টের দলীয় ব্যাটিং দেখে পাকিস্তান সিরিজের স্মৃতিচারণও কেউ করতে পারবে না আর। তবে এই ব্যর্থতার কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর থেকে বের হওয়ার পথও তাই জানা নেই।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে আসা মেহেদি হাসান মিরাজ কেন ধারাবাহিক ব্যাটিং ব্যর্থতা হচ্ছে তার কোন ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। টপঅর্ডার থেকে রানের আকুতি জানানো ছাড়া তার কিছুই করার ছিল না।
ব্যাটিং ঘাটতি মেনে নিয়ে মিরাজ বলেছেন, “সিদ্ধান্ত নেওয়াটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিছু কিছু জায়গায় ঘাটতি আছে, তাই ব্যাট হাতে বিপর্যয় হচ্ছে। উপরের দিকে একটা জুটি জরুরী। টপ অর্ডার ভালো শুরু এনে দিলে পরের ব্যাটারদের কাজ সহজ হতো। পাকিস্তানে প্রথম টেস্টে ৩-৪ নম্বর থেকে ভালো শুরু এসেছিল, ওপেনাররাও ভালো করেছিল। এতে পরের ব্যাটারদের কাজ সহজ হয়ে যায়। নতুন বল যদি ৫-৬ নম্বর ব্যাটারকে খেলতে হয় তাহলে তো কঠিন। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি কীভাবে টপ অর্ডাররা সফল হতে পারে, বেশিরভাগ টেস্টেই যেন সফল হয় এসব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।”
একাদশে তিন স্পিনার রাখলেও মাত্র এক পেসার নিয়ে খেলেছে বাংলাদেশ। অথচ এই টেস্টে পেসাররা ভালো করেছেন। তাহলে কি বাংলাদেশ পিচ পড়তেই ভুল করেছে? মিরাজ জানিয়েছেন, “আমরা যেভাবে আশা করেছিলাম, মিরপুরের উইকেট টার্নিং হবে, স্পিনাররা ডমিনেট করবে। আগেও আমরা এক পেসার খেলিয়েছি। সে প্রত্যাশা অনুযায়ী করতে পারিনি। কন্ডিশন ভিন্ন হয়ে গেছে, ওদের পেসাররা ভালো করেছে, আমাদের হাসানও ভালো করেছে। আমরা স্পিনাররা আরও ভালো করলে বিশেষ করে আমি এবং নাঈম ভালো করলে এসব প্রশ্ন আসত না।”
এই টেস্টের শেষটা বরাবরের মতোই। মিরপুরকে এত ভালো জানার পরও এখানে পরিকল্পনা করে জয় না পাওয়ার ব্যর্থতা মেনে নিয়েছেন মিরাজ। সঙ্গে পরের টেস্টে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশাও জানিয়ে রেখেছেন।