উইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট জিতে সিরিজ ড্র করায় আনন্দে ভাসছে বাংলাদেশ দল। নিজেদের এই অর্জন তাদের কাছেই ভালো লাগার। আত্মবিশ্বাস, মনোবল ও জয়ের চেষ্টায় এসেছে এই সাফল্য। তবে মেহেদি হাসান মিরাজের কাছে এ জয় অন্যদিক থেকে “অনেক বড় পাওয়া”।
এ সিরিজ দিয়ে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে যাত্রা শুরু হয়েছে মিরাজের। সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ছিল তার পঞ্চাশতম। হাফসেঞ্চুরিতে ভালো কিছু না হলেও একান্নতে হয়েছে। ভবিষ্যত অধিনায়ক হিসেবে যাকে সবচেয়ে এগিয়ে রাখা হয়েছিল সে নিজেই নিজের পারফরম্যান্সে পেলেন লেটার মার্ক।
ম্যাচ শেষে তাই নিজের তৃপ্তির কথা বলছিলেন মিরাজ, “এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। প্রথম ম্যাচ হেরে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতলাম। আমি প্রথম নেতৃত্ব দিচ্ছি। ওই দিক থেকে এটা আমার অনেক বড় অর্জন। আর সব ক্রিকেটারদের কৃতিত্ব দিতে চাই। যেভাবে আমি বলেছি, চেয়েছি ঠিক সেভাবেই পারফরম করেছে। সবাই মন থেকে চেয়েছিল ম্যাচটা জিততে। উদগ্রীব ছিল ফিরে আসার জন্য। এজন্যই আমরা জিততে পেরেছি।”
মিরাজের মতে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস ম্যাচে ফিরিয়েছে তাদের। ইতিবাচক মানসিকতায় এসেছে সাফল্য, “যখন আমরা দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে যাই একটা কথা বলেছিলাম যে এ উইকেটে ইতিবাচক ক্রিকেট না খেললে কঠিন। যেহেতু আমরা ১৮ রানের লিড পেয়েছি আমাদের রান দরকার ছিল। আমরা জানতাম এ উইকেটে ২৫০ রান করলে ম্যাচটা জেতে সহজ হবে।”
মনোবল শক্ত করা কঠিন ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে মুমিনুল অসুস্থ হয়ে পড়লে তিন নম্বরে ব্যাট করার উপযুক্ত কাউকে পাওয়া যাচ্ছিল। ব্যাটিংয়ে এই পজিশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের নাম্বার থ্রি সবসময় বড় কিছু করতে ব্যর্থ হয় তবে এ উইকেট ঘিরেই বড় রানের সুরটা বাঁধা হয় বলে ক্রিকেটের নিয়ম।
সেই সুযোগটা দেওয়া হয় শাহাদাত হোসেন দিপুকে। মিরাজ বলেছেন এই তরুণের ২৮ রান আত্মবিশ্বাস ছড়িয়েছে, “সৌরভ ভাই যখন অসুস্থ হয়ে যায় তখন দলের মনোবল ভেঙ্গে পড়েছিল কারণ ওই পজিশনে ব্যাট করা কঠিন। তো দিপুকে সুযোগটা দেওয়ায় সে রাজি হয়। আমি ওকে বলেছিলাম যে খুব ইতিবাচক ক্রিকেট খেলবে। এমন যদি হয় প্রথম বল থেকে মারতে হবে সেটাও ঠিক আছে।”
ওই ইনিংসে নিজের ৩৯ বলে ৪২ রানের ইনিংসকেও কৃতিত্ব দিলেন মিরাজ। ভয়ডরহীন ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে দিতে পেরেছেন তিনি, “আমি যখন চার নম্বরে খেলেছিলাম আমিও ইতিবাচক মানসিকতায় খেলেছি। ক্রিকেটারদের প্রতি বার্তাটা ছিল যে রান করতে হবে। টেস্ট ক্রিকেট বলে নেতিবাচক মানসিকতা নিয়ে খেলবো, বল নিয়ে ভাববো কি হলে কি হবে এমন না। এই ভাবে আমরা ম্যাচে ফিরেছি।”