মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে অভিষেক হয়েছিল মেহেদি হাসান মিরাজের। এরপর খেলেছেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালের অধীনেও। পাশাপাশি মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের নেতৃত্বগুণও দেখেছেন সামনে থেকে।
দেশের সেরা পাঁচ ক্রিকেটারের সঙ্গেই ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করেছেন। তাদের কাছ থেকে অনেক কিছুই নিতে পেরেছেন। মিরাজ যখন ওয়ানডে অভিযান শুরু করেন তখন বাংলাদেশ এই ফরম্যাটে দারুণ দল। অথচ এখন নিজেদের সেরা ফরম্যাটেই খাবি খাচ্ছে দল।
এমন সময়ে জাতীয় দলের ওয়ানডে নেতৃত্ব পেয়েছেন মিরাজ। মাত্র এক বছরের জন্য হলেও এই চ্যালেঞ্জটা বিশাল। সফল হলে বাহবা নয়তো কালিমা। মিরাজ অবশ্য ঠিক করেছেন পড়তি ফর্ম দূর করবেন। সুদিন ফেরাবেন। আর তাই অভিজ্ঞদের থেকে নেওয়া শিক্ষা কাজে লাগাবেন।
বাংলাদেশ দলকে আগামী এক বছরের মধ্যে ভালো জায়গায় নিতে চান তিনি। একইসঙ্গে জাতীয় দলকে লম্বা সময় ধরে নেতৃত্ব দেয়ার ইচ্ছা তার।
সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বলেছেন, “লম্বা সময় থাকলে ভিশন ভালো থাকে। সামনে ওয়ানডে বিশ্বকাপ আছে। যেহেতু দল হিসেবে আমরা এখন একটু সংগ্রাম করছি, তাই বোর্ড হয়তো ভেবেছে একটা বছর একটা জায়গায় দাঁড় করাই দলটাকে। এরপর হয়তো পরবর্তী ধাপ দেখবে কন্টিনিউ করবে না কী করবে। এখন সময় এসেছে ওয়ানডে দলটাকে একটা জায়গায় দাঁড় করানোর। ২ জন সিনিয়র ক্রিকেটার অবসর নিয়েছেন। যারা সুযোগ পাবে তাদেরকেও এই জিনিসগুলো ভাবতে হকে, আমার মনে হয় এই ১ বছরের মধ্যে সব সেট করা যাবে।।
আগামী মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে পূর্ণকালীন অধিনায়ক হিসেবে শুরু হবে মিরাজের মেয়াদ। এর আগেও চারটি ওয়ানডে ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি, সদ্য সাবেক হওয়া ওয়ানডে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অনুপস্থিতিতে।
শান্তকে বাদ দিয়ে তাকে অধিনায়কত্ব দেয়া প্রসঙ্গে মিরাজ বলেন, “এখন ওয়ানডেতে আমরা হয়তো ১০ নম্বরে আছি, আগে একটা সময় ৫ নম্বরেও ছিলাম। আমি যখন ঢুকেছি ৬ নম্বরে ছিলাম। ২০২৩ বিশ্বকাপের পর আমরা বেশি ওয়ানডে খেলিনি। সেখানে হয়তো একটু ইয়ে হয়ে গেছে। তো পারফরম্যান্সের দিক থেকে শান্ত অনেক ভালো করেছে। দিন শেষে এটা বোর্ডের সিদ্ধান্ত। তারা কীভাবে চিন্তা করছে, কীভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।”
আইসিসি ওয়ানডে অলরাউন্ডার র্যাঙ্কিংয়ে বর্তমানে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন মিরাজ। ১০৫ ওয়ানডে ম্যাচে ১৬১৭ রান ও ১১০ উইকেট নিয়ে তিনি পৌঁছে গেছেন অভিজাত অলরাউন্ডারদের তালিকায়।
নতুন নেতৃত্বে বাংলাদেশ দলের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ধারাবাহিকতা ও আগ্রাসী মানসিকতা ফিরিয়ে আনা। মিরাজ জানিয়েছেন, তিনি সেই লক্ষ্য নিয়েই দায়িত্ব নিচ্ছেন। দলের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনা এবং দেশের হয়ে ভালো পারফরম্যান্স উপহার দিতে চান তিনি।