Beta
শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪
Beta
শুক্রবার, ৪ অক্টোবর, ২০২৪

৯ দিন পর খুলছে জাতীয় চিড়িয়াখানা

ঢাকার মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
ঢাকার মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
Picture of সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

সকাল সন্ধ্যা প্রতিবেদন

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতার কারণে টানা ৯ দিন বন্ধ থাকার পর খুলছে জাতীয় চিড়িয়াখানা। আগামীকাল সোমবার থেকে আবার চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করতে পারবেন দর্শনার্থীরা।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার প্রেক্ষাপটে গত ১৯ জুলাই ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত এ চিড়িয়াখানায় কোনও দর্শনার্থী আসেননি। সেই রাতে দেশজুড়ে কারফিউ জারি করা হলে পরদিন ২০ জুলাই থেকে চিড়িয়াখানা বন্ধ রাখা হয়।

রবিবার চিড়িয়াখানায় গিয়ে দেখা যায়, প্রবেশমুখে টিকিট কাউন্টারের সামনে নেই কেউ। প্রবেশপথের বাম পাশে নিজেদের বেষ্টনীর কাছাকাছি চলে এসেছে চিত্রাহরিণের দল।

একটু এগোতেই জলহস্তীর বেষ্টনী। অন্য সময় জলাধারে মুখ ডুবিয়ে থাকে জলহস্তীগুলো। এখন সেখানে উল্টো দৃশ্য। ১২টি জলহস্তীর সবকটিই ডাঙায় উঠে চলে এসেছে খাঁচার সামনে।

চারদিকে সুনশান নীরবতা থাকায় দূর থেকেও শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন পশু-পাখির ডাক।

দূর থেকেও শোনা যাচ্ছে বিভিন্ন পশু-পাখির ডাক। ছবি : সকাল সন্ধ্যা

জলহস্তীদের তত্ত্বাবধায়ক মো. সালাউদ্দিন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “দর্শক নাই, তাই জলহস্তীরা ডাঙায় উঠছে। ২০ বছর ধরে চিড়িয়াখানায় আছি। চার বছর আগে করোনার সময় এমন অবস্থা দেখেছি।”

নিরাপত্তা ঝুঁকির কারণে চিড়িয়াখানা বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে জানান বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক ড. মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলাম তালুকদার।

তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “মিরপুর চিড়িয়াখানা দেশের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় স্থাপনা। এখানে দুর্বৃত্তের হামলা হলে হিংস্র প্রাণীরা বেরিয়ে এসে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। একইসঙ্গে প্রাণীদের ঠেকিয়ে রাখাও কঠিন।

“তাছাড়া অবরোধ আর কারফিউয়ে দর্শকও কম পাওয়া যাচ্ছিল। সব কিছু বিবেচনা করে আমরা চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ করে দেই।”

বন্ধ চিড়িয়াখানার ভেতরের দৃশ্য। ছবি : সকাল সন্ধ্যা

চিড়িয়াখানার তথ্য বলছে, সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে এখানে দর্শনার্থী আসেন ১০ হাজার। অন্যান্য দিনে সংখ্যাটা থাকে প্রায় ৪ হাজার। প্রতি সপ্তাহে রবিবার বন্ধ থাকে চিড়িয়াখানা। প্রাণী জাদুঘর ও শিশু পার্কে আলাদা আলাদা টিকিট থেকেও বেশ আয় হয়। গত কয়েক দিন বন্ধ থাকায় ‘বিপুল পরিমাণ’ ক্ষতির মুখে পড়েছে চিড়িয়াখানা।

রফিকুল ইসলাম তালুকদার বলেন, “১৯ জুলাই সহিংসতার কারণে কোনও দর্শনার্থী আসেনি। হামলার আশঙ্কায় ২০ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত চিড়িয়াখানায় টিকিট বিক্রিসহ অন্যান্য খাত মিলিয়ে আমরা ৩০ লাখ টাকা রাজস্ব হারিয়েছি।”

দ্রুত এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া কঠিন হবে জানিয়ে রফিকুল ইসলাম বলেন, “কারফিউ শিথিল থাকায় ২৯ জুলাই থেকে চিড়িয়াখানা খুলে দিচ্ছি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত চিড়িয়াখানায় আগের মতো দর্শনার্থী নাও আসতে পারে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত