তিনি বুড়িয়ে গেছেন তবে ফুরিয়ে যাননি। আইপিএলের সেমিফাইনালের পর ফাইনালেও ম্যাচ সেরা হয়ে প্রমাণ করলেন মিচেল স্টার্ক। ২৪.৭৫ কোটি রুপিতে কলকাতা নাইট রাইডার্স যে তাকে এমনিতে কিনেনি প্রমাণ করলেন আবারও।
অথচ তার শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। প্রথম দুই ম্যাচে ৮ ওভারে দেন ১০০ রান, পাননি উইকেটের দেখা। চার ম্যাচ শেষে উইকেট দুটি। তাতে স্টার্কের একটি বলের দাম দাঁড়ায় ২৯ লাখ ৪৬ হাজার রুপি। আর এক উইকেটের দাম ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার রুপি!
নিজের এমন দাম নিয়ে সতীর্থরাই মজা করত বলে ফাইনাল শেষে জানালেন স্টার্ক, ‘‘অনেক বছর আইপিএল খেলিনি। এ বার কেকেআর আমার উপর ভরসা দেখিয়েছে। আমার দাম নিয়ে দলে সবাই মজা করত।’’
এর আগে কেবল ২০১৪ ও ২০১৫ সালের আইপিএল খেলেছিলেন স্টার্ক। এবার ফিরে শুরুর ব্যর্থতা কাটিয়ে শেষ দুই ম্যাচের নায়ক তিনি। তাই তিন সংস্করণের মধ্যে ওয়ানডেকে বিদায় জানিয়ে আরও বেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতে চান স্টার্ক, ‘‘ক্যারিয়ারের শেষ প্রান্তে এসে গেছি আমি। একটা সংস্করণ হয়তো বাদ দেব। ওয়ানডে বিশ্বকাপ অনেক দূরে, এই সংস্করণটা আমি চালিয়ে যাব কি না (দেখা যাক)। এটা হয়তো (ওয়ানডে ছাড়লে) ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের দরজা খুলে দেবে আরও।’’
আইপিএল খেললে পরের বছরেও স্টার্কের পছন্দ কলকাতা নাইট রাইডার্স, সেটা জানালেন অকপটে, ‘‘আমি সূচিটা ঠিক জানি না। তবে আমি উপভোগ করেছি। আগামী মৌসুমে ফিরে আসার জন্য আমি মুখিয়ে আছি আর হয়তো বেগুনি ও সোনালিতেই দেখা যাবে (কলকাতার জার্সির রং)।’’
কেকেআরকে চ্যাম্পিয়ন করার পর আইপিএলের সব থেকে দামী ক্রিকেটার বলেছেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আইপিএলের মতো ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম থাকবে না। সব দলকে অলরাউন্ডারদের উপর বেশি নির্ভর করতে হবে। আইপিএলের মতো আট নম্বরে ব্যাটিং অলরাউন্ডার নামিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে না। আমার মনে হয় না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এত রান উঠবে। ওখানে সব দলকেই এক জন ব্যাটার কম নিয়ে খেলতে হবে।’’
সর্বোচ্চ ৭৪১ রান করে বিরাট কোহলি জিতেছেন অরেঞ্জ ক্যাপ, তিনি পেয়েছেন ১০ লাখ রুপি। ২৪ উইকেট নিয়ে পাঞ্জাব কিংসের বোলার হার্শাল প্যাটেল জিতেছেন পার্পল ক্যাপ। তাকেও দেয়া হয়েছে ১০ লাখ রুপি। আসরের সেরা ক্যাচের জন্য রামানদ্বীপ সিং, বেস্ট স্ট্রাইকরেটের জন্য দিল্লি ক্যাপিটালসের জ্যাক ফ্রেজার ম্যাকগার্কও পেয়েছেন ১০ লাখ রুপি। টুর্নামেন্ট সেরা হয়ে সুনীল নারাইনও পেয়েছেন ১০ লাখ রুপি।
রান বন্যার এবারের আইপিএলে ভেঙেছে একাধিক রেকর্ড। এবার আইপিএল দেখেছে মোট ১২৬০টি ছক্কা, আগের রেকর্ডের চেয়ে যা ১৩৬টি বেশি। ২০২৩ সালে ৭৪টি ম্যাচে ছক্কা হয়েছিল ১১২৪টি। ২০২৩ সালের আইপিএলে বাউন্ডারি হয়েছিল ২১৭৪টি , এবারও হয়েছে ২১৭৪টি বাউন্ডারিই!