Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫

ফিরেছে মোবাইল ইন্টারনেট, বন্ধ ফেইসবুক হোয়াটসঅ্যাপ ইউটিউব

SS-mobile-internet-conectivity-bd-280724
[publishpress_authors_box]

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে দেশে সব ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ার দশ দিন পর মোবাইল ইন্টারনেট চালু করেছে সরকার। তবে এই নেটওয়ার্কে বন্ধই থাকছে ফেইসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউবসহ জনপ্রিয় সোশাল মিডিয়া।

রবিবার দুপুর ৩টায় মোবাইলে ফোর জি ইন্টারনেট সংযোগ চালু করে সরকার। এ বিষয়টি জনসাধারণের সামনে তুলে ধরতে ঢাকার আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে সাংবাদিকদের সামনে আসেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এর আগে মোবাইল ফোন অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন তিনি।
ওই বৈঠকে এদিন দুপুর ৩টা থেকে সারাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, “আজকে বিকাল ৩টার পর থেকে সারাদেশে মোবাইল ইন্টারনেট সচল করতে পারব। তার জন্য প্রযুক্তিগত সহযোগিতা আমরা সব সময়ই দেব। মোবাইল অপারেটররাও যত দ্রুত সম্ভব তাদের প্রস্তুতি গ্রহণ করবে।”  

তিনি বলেন, “সারাদেশে শত শত কিলোমিটার ফাইবার অপটিকাল কেবল যেগুলো ওভারহেড ছিল, আইএসপির, সেগুলো সন্ত্রাসীরা পুড়িয়ে দেয়, কেটে ফেলে। তো আমাদের স্যাটেলাইট ‘আপ অ্যান্ড রানিং’ ছিল।

“আমাদের ইন্টারনেট সামহিকভাবে বিঘ্ন ঘটে। সারাদেশে ইন্টারনেট সংযোগ ব্যাহত হয়। আজকে আমাদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় আজ বিকাল ৩টার সময় মোবাইল নেটওয়ার্কের ফোর জি ইন্টারনেট কানেকটিভিটি পুনস্থাপন করতে পারব।”
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গত ১৭ জুলাই মধ্যরাত থেকে মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরের দিন সন্ধ্যার পর থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগও বন্ধ হয়ে যায়। এরপর ৫ দিন বন্ধ থাকার পর গত ২৪ জুলাই থেকে দেশের কোথাও কোথাও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা সচল হয়।

ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা বন্ধের কারণ হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে মহাখালির ডেটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এ-সংক্রান্ত তথ্যও গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তবে তিনি সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ থাকার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু জানাননি।

এই ১০ দিন মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারায় বোনাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যারা মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজের গ্রাহক তাদের তো কোনও ব্যক্তিগতভাবে দোষ নেই। সকল বিষয় বিবেচনা করে আমরা বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যারা মোবাইল ইন্টারনেটের গ্রাহক তাদের প্রত্যেককে তিন দিনের জন্য পাঁচ জিবি ইন্টারনেট ফ্রি দেওয়া হবে। মোবাইল ইন্টারনেট চালুর তিন দিনের মধ্যে এই বোনাস পাবেন।”

গত ২৩ জুলাই থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা পাওয়া গেলেও এই নেটওয়ার্কে ফেইসবুক, টিকটক বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপেও বার্তা আদান-প্রদানে অসুবিধা হচ্ছে। তবে চলছে ইউটিউব।

এ বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “নির্দিষ্ট করে কোনও অ্যাপ্লিকেশনের কথা বলছি না। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থার নির্দেশনা ও পরামর্শক্রমেই প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছি। তাদের যখন যেখানে যে ধরনের সহযোগিতা প্রয়োজন হচ্ছে, একসঙ্গে কাজ করছি সহযোগিতা দিতে। কোনও নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম, ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশনের কথা উল্লেখ করতে পারছি না।  

“সরকার সম্পূর্ণভাবে কখনোই কোনও অ্যাপ বন্ধ করেনি। এটা নির্ভর করছে তাদের (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী) আচরণের ওপর। তারা যদি দেশের আইন, সংবিধান ও নিরাপত্তা বিবেচনায় রেখে দায়িত্বশীল আচরণ করে, তাহলে বাংলাদেশে সবার সহযোগিতা পাবে।”

অনেকেই অনেকভাবে অনেক অ্যাপ ব্যবহার করছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ভিপিএন ঝুঁকিপূর্ণ, নিরাপত্তা বিবেচনায় রেখে এগুলো ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।”

ফোর-জিতে সোশাল মিডিয়া চালু কবে—এ প্রসঙ্গে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ফেইসবুক, ইউটিউব ও টিকটককে গতকাল শনিবার চিঠি দেওয়া হয়েছে বিটিআরসি থেকে। চিঠিতে গত এক মাসে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন সহিংসতা ও গুজব ছড়িয়ে যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে, সেগুলো সরাতে অনুরোধ করা হয়েছে।”

‘যতটুকু সরানো হয়েছে, তা নগণ্য ও অগ্রহণযোগ্য’ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আইন মেনে তারা বাংলাদেশে সাইবার জগৎ ব্যবহার করতে চায় কি না—সে ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত