Beta
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫

মোবাইল ইন্টারনেট বিভ্রাট : প্রতিমন্ত্রী বললেন, প্রয়োজনে

জুনাইদ আহমেদ পলক
জুনাইদ আহমেদ পলক
[publishpress_authors_box]

কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘাত-সহিংসতার মধ্যে সরকারই মোবাইল ইন্টারনেট সেবা সীমিত করে দিয়েছে বলে স্বীকার করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তা এবং নাগরিকদের নিরাপত্তার প্রয়োজনেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।

বুধবার রাত থেকেই ঢাকার বিভিন্ন স্থানে মোবাইল ডাটা কাজ করছে না বলে অভিযোগ করছিলেন বিভিন্ন অপারেটরের গ্রাহকরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সেই সমস্যা প্রকট হয়ে ওঠে। মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে ফেইসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপের মতো অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার ঢাকার আগারগাঁওয়ের বিবিসি অডিটোরিয়ামে এক অনুষ্ঠান শেষে জুনাইদ আহমেদ পলকের কাছে এ বিষয়টি নিয়ে জানতে চান সাংবাদিকরা।

জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “যখন কোনও আন্দোলন হয়, বেশি মানুষের উপস্থিতি হয়, তখন টেকনোলজির সমস্যা তৈরি হয়। কিন্তু খেয়াল করলাম, সোশ্যাল মিডিয়াটাকে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করে গুজব, মিথ্যা অপপ্রচারকে অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে একটি গোষ্ঠী। আর সেটা কেবল দেশের ভেতরে না, দেশের বাইরে থেকেও কনটেন্ট বুস্ট করা হচ্ছে। তার মানে টাকা দিয়ে মিথ্যা খবরটা সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।”

বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত এবং গোয়েন্দা সংস্থার বিশ্লেষণ অনুযায়ী নাগরিকদের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে সাইবার প্ল্যাটফর্মেও নিরাপত্তা দিতে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

পলক বলেন, “এজন্য সাময়িক হয়ত কষ্ট হতে পারে। তবে আমি বিনয়ের সঙ্গে সবাইকে অনুরোধ করব, ধৈর্যের সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য।”

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ফেইসবুক ও ইউটিউবকে বাংলাদেশের আইন মেনে চলতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়ার বিষয়ে আগে থেকে কেন ঘোষণা দেওয়া হয়নি কা কতক্ষণ এ পরিস্থিতি থাকবে তা জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ এবং পরিস্থিতির প্রয়োজনে গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করতেই প্রযুক্তিগত সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। যত দ্রুত পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে আসবে, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আসবে তত দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে বলেও জানান তিনি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা অপপ্রচার এবং গুজবের কারণে দেশে ছয় জনের প্রাণহানী হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আশঙ্কা করছি দেশবিরোধী চক্রান্তকারী একটি গোষ্ঠী রয়েছে, যারা এই ধরনের কাজগুলো করছে। যারা এসব অপপ্রচার বুস্ট করা হচ্ছে। এসব টাকার উৎস কী সেগুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

পলক বলেন, “দেশের প্রতিটি প্রাণের মূল্য আছে, আর কোনও প্রাণ ঝরে যাক আমরা চাই না।

এ ধরনের ক্ষতি যদি চলতে থাকে, তাহলে আমরা ছাড় দেব না।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত