সেমিফাইনালের পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন ভারতের স্পিনাররাই। ভারতের তিন স্পিনার ১১ ওভারে কেবল ৫৮ রান দিয়ে নেন ৬ উইকেট। ইকোনমি রেট ৫-এর মতো। অক্ষর প্যাটেল ২৩ রানে ৩ ও কুলদীপ যাদব ১৯ রানে নেন ৩ উইকেট। রবীন্দ্র জাদেজা ৩ ওভারে দেন ১৬ রান।
সেখানে ইংল্যান্ডের পেসাররা ১২ ওভারে ৬ উইকেট নিলেও রান দেন ১২০, ইকোনমি রেট ১০। তাদের স্পিনাররা ৬.১২৫ ইকোনমিতে ৮ ওভারে ৪৯ রানে উইকেট নেন কেবল ১টি। স্পিনিং উইকেটে বিস্ময়করভাবেই জস বাটলার বল দেননি মঈন আলীকে।
ম্যাচ শেষে এ নিয়ে নিজের ভুল মানলেন বাটলার, ‘‘অবশ্যই ভারতের অসাধারণ কজন স্পিনার আছে। আমাদের দুই স্পিনারও ভালো করেছে। ম্যাচ শেষে মনে হয়েছে, এই ইনিংসে আমার মঈনকে বল করতে দেওয়া উচিত ছিল, বিশেষ করে যেভাবে স্পিনাররা পার্থক্য গড়ে দিয়েছে ম্যাচে।’’
ভারতকে ১৫০ রানের নিচে আটকে রাখার পরিকল্পনা ছিল বাটলারের। সেটা না হওয়ায় হতাশা লুকাননি বাটলার, ‘‘ভারত আমাদের বিধ্বস্ত করেছে। আমরা ওদের ২০-২৫ রান বেশি দিয়ে ফেলেছি। ওরা যোগ্য দল হয়েই জিতেছে।’’
ম্যাচ সেরা অক্ষর প্যাটেল নিজের অসাধারণ বোলিং নিয়ে জানালেন, ‘‘আমাদের ব্যাটাররা বলেছিল, বড় শট খেলা কঠিন এই পিচে। সেটা মাথায় রেখেছিলাম। পিচ ধীর গতির ছিল। সেটাই কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছি। গতি কমিয়ে বল করেছি। রোহিত আর সূর্যকুমারের জুটি আমাদের ভাল জায়গায় পৌঁছে দিয়েছিল। ওদের ইনিংস গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’’