টেস্ট থেকে অবসর নিয়েছিলেন আগেই। এরপর বন্ধু বেন স্টোকসের ডাকে ফিরেছিলেন অ্যাশেজে। সেই টুর্নামেন্ট শেষে পাকাপাকি বিদায় বলেন টেস্টকে। এবার ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি থেকেও অবসর নিলেন মঈন আলী। ইংল্যান্ডের জার্সিতে আর খেলবেন না এই অলরাউন্ডার।
ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার ঘোষণাটা দিলেন ৩৭ বছরের মঈন আলী। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজে ডাক না পাওয়ার পর এমন সিদ্ধান্ত তার, ‘‘আমার বয়স ৩৭ বছর। সুযোগ পাইনি অস্ট্রেলিয়া সিরিজে। অনেক ক্রিকেট খেলেছি ইংল্যান্ডের হয়ে, এখন সময় নতুন প্রজন্মের, এটা আমাকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আমার অধ্যায় শেষ।’’
সিলেটের জামাই হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গেও একটা সম্পর্ক আছে মঈনের। তার স্ত্রী ফিরোজা হোসেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। জন্ম-বেড়ে ওঠা দুটিই ইংল্যান্ডে হলেও ফিরোজার বাবার বাড়ি সিলেট শহরের পীর মহল্লা এলাকায়। পরে ইংল্যান্ডে গিয়ে থিতু হন তারা। ফিরোজার জন্ম সেখানে, মঈনের সঙ্গে পরিচয়-পরিণয়ও ইংল্যান্ডে।
বিয়ের আগে ও পরেও ফিরোজা বাংলাদেশে এসেছেন। আর মঈনের প্রথম সিলেটে আসা ২০২২ সালের বিপিএলে খেলতে এসে। তখন শ্বশুরবড়িও ঘুরে যান তিনি।
সর্বশেষ তিনটি বিশ্বকাপে মঈন সহ-অধিনায়ক ছিলেন ইংল্যান্ডের। ২৯৮টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ৬৮ টেস্টে তার রান ৩০৯৪, উইকেট ২০৪টি। ১৩৯ ওয়ানডেতে রান ২৩৩৫, উইকেট ১১১টি। আর ৯২ টি-টোয়েন্টিতে রান ১২২৯ ও উইকেট ৫১টি।
মঈনের ফর্ম অবশ্য ভালো ছিল না গত কিছুদিন। ওয়ানডেতে সর্বশেষ ফিফটি ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে। এরপর ১৩ ইনিংসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ৪২। এজন্যই সরে দাঁড়ালেন জাতীয় দল থেকে, ‘‘ আমি ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার চেষ্টা করতে পারতাম। তবে বাস্তবতা জানি, এজন্য চেষ্টা করব না। দলের এখন নতুন চক্রে প্রবেশ করা প্রয়োজন। এটা নিজের কাছেও সৎ থাকার ব্যাপার।’’