গবেষণামূলক কাজে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
সোমবার ঢাকার গুলশানে অসংক্রামক ব্যাধি নিয়ে লেখা বই ‘রেড এলার্টের’ মোড়ক উন্মোচন করে তিনি একথা বলেন।
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবার যৌথ গবেষণার ফল ‘রেড এলার্ট”। স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য লেখা নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ বা অসংক্রামক ব্যাধি বিষয়ে বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রথম বই এটি। অসংক্রামক ব্যাধি, খাদ্যাভ্যাস ও বাংলাদেশে জীবনযাপনকে বিষয়বস্তু করে এই বইটি সম্পাদনা করা হয়।
বইটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী আরাফাত আলী বলেন, “ভবিষ্যতে এই ধরনের গবেষণামূলক কাজে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহায়তার চেষ্টা করব।”
বইটি সম্পাদনার মূল ভূমিকায় ছিলেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক গিয়াস ইউ আহসান। সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ম্যানিটোবার অধ্যাপক ড. সি এমদাদ হক এবং নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এম আনিসুল ইসলাম।
বইটি থেকে তথ্য নিয়ে কিভাবে নীতি নির্ধারণে প্রয়োগ করা যায় সে বিষয়টি সংশ্লিষ্টরা দেখবেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
বইয়ের প্রচ্ছদ এবং গুণগতমান নিয়েও প্রশংসা করে মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, “এটা আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন। বইটি দেখতে অনেক সুন্দর।”
অনুষ্ঠানে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, “এই প্রকাশনাটি কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের গবেষণার ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।”
কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি বিশ্বব্যাপি শিক্ষা গবেষণায় সেতুবন্ধন তৈরিতে বিশ্বাসী বলে জানান সরাফাত।
এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে কানাডিয়ান হাইকমিশনের সিনিয়র ট্রেড কমিশনার দেবরা বয়েছ ও বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ড. মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
বইমেলার ৮৯৫ নম্বর স্টলে পাওয়া যাবে রেড এলার্ট বইটি।
