Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৬ মে, ২০২৫

শেকলে বেঁধে তরুণীকে ধর্ষণ, চার আসামি রিমান্ডে

SS-COURT-LAW-180224
[publishpress_authors_box]

ঢাকার মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় তরুণীকে ২৫ দিন শেকলে বেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে চার আসামিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের(রিমান্ড) অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।

সোমবার আসামিদের ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিমের আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড দেয়।

গত শনিবার ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে পুলিশ শেকলে বাঁধা তরুণীকে উদ্ধার করে। এরপর এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়। রোববার রাতে মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তোফাজ্জল হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন সালমা ওরফে ঝুমুর, সান এবং তার দুই বন্ধু হিমেল ও রকি।

ঢাকার মহানগর পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপ-পরিদর্শক ফারুকুল ইসলাম আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন। আদালত তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছে।

সোমবার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ কমিশনার আজিমুল হক বলেন, “ওই তরুণীর সঙ্গে মাসুদ নামে এক ব্যারিস্টারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ব্যারিস্টার বর্তমানে দেশের বাইরে। তরুণীকে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে সেই ব্যারিস্টারকে পাঠানো হতো। ব্যারিস্টার মাসুদের নির্দেশেই সালমা, সানসহ তার দুই বন্ধু প্রায় ২৫ দিন তরুণীকে শিকল দিয়ে বেঁধে যৌন নির্যাতন চালাত।”

মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক তোফাজ্জল জানান, তারা গিয়ে শেকল হাত-পা বাঁধা অবস্থাতেই সেই তরুণীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।

মামলায় বলা হয়েছে, গত ৫ মার্চ থেকে ওই তরুণীকে শেকলে বেঁধে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে। শুধুমাত্র খাবার এবং বাথরুমে যাওয়া সময় শেকল খুলে দিতেন সালমা।

গত ৩০ মার্চ রাতে বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে জানালা দিয়ে চিৎকার করে স্থানীয় এক ব্যক্তির দৃষ্টি কাড়তে সক্ষম হন ওই তরুণী। পরে সেই ব্যক্তি ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ এগিয়ে আসে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত