নাজমুল হাসান পাপনের মেয়াদে ঘরোয়া ক্রিকেটে বাড়তি সুবিধা পেয়েছে আবাহনী। রাজনৈতিক পালাবদলের পর সেই সুবিধা কি এখন পাচ্ছে মোহামেডান? নাহলে আইন বদলে কীভাবে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা এক ম্যাচে নামিয়ে আনা হয়েছিল মোহামেডান অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়ের? পুরো ঘটনার জন্য দায়ী করা হচ্ছিল পাপনের জায়গায় বোর্ড প্রেসিডেন্ট হওয়া ফারুক আহমেদকে।
বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি প্রেসিডেন্ট ফারক আহমেদ অবশ্য অস্বীকার করলেন এই অভিযোগ। হৃদয়ের শাস্তি কমানোয় নিজের নাম আসাটা দুঃখজনক বলে ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন একটি ইংরেজি দৈনিককে, ‘‘একটা টেকনিক্যাল কমিটি আছে, আম্পায়ার্স কমিটি আছে। তারা স্বাধীনভাবে কাজ করছে। এখানে আমার নামা আসাটা খুবই দুঃখজনক।’’
নাজমুল হাসান পাপন পরিচালক ছিলেন আবাহনীর। কিন্তু খেলোয়াড়ী জীবন থেকে মোহামেডানের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক না থাকার কথাও স্মরণ করিয়ে দিলেন ফারুক আহমেদ, ‘‘আমি মোহামেডান ক্লাবের সদস্য নই। মোহামেডানে কখনও খেলিনি। আমি ওদের কাউন্সিলর নই, অর্থদাতাও নই। আমি ওদের সঙ্গে সম্পৃক্ত নই। তাই আমাকে এই ব্যাপারে সম্পৃক্ত করাটা খুব খুব দুঃখজনক। কোনো কিছু ঘটলেই দোষ হয় প্রেসিডেন্টের, এটা আমার জন্য কষ্টের।’’
হৃদয়ের শাস্তি কমানোর প্রক্রিয়া মানতে না পেরে বিসিবির চাকরী ছাড়তে চিঠি দিয়েছিলেন আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। হৃদয়ের শাস্তি বহাল রাখায় সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন তিনি। তবে টেকনিক্যাল কমিটিতে ফেরেননি এনামুল হক মনি। তার জায়গাতেই নিয়োগ পাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম। আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু নিশ্চিত করেছেন এটা।