Beta
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১৩ মে, ২০২৫

চট্টগ্রামে জাসদ নেতা বাদলের কবর ভাঙচুর-আগুন

moin uddin khan badol
[publishpress_authors_box]

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাবেক কার্যকরী সভাপতি ও সংসদ সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদলের কবর ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে চট্টগ্রাম জেলার বোয়ালখালী উপজেলার সারোয়াতলীর গ্রামে আহমদুল্লাহ খান বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে।

পরে হামলার ছবি ও ভিডিওসহ ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন তার স্ত্রী সেলিনা খান। এই ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগও করেছেন তিনি।

মঈন উদ্দীন খান বাদল ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

এরপর ২০১৪ সালে দশম ও ২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন বাদল। ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভারতের একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান। এরপর সারোয়াতলীর নিজ বাড়ির পাশে তাকে কবর দেওয়া হয়। তার পরিবারের সদস্যরা চট্টগ্রাম শহরেই থাকেন।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশের বিভিন্নস্থানে সাবেক এমপি মন্ত্রীর বাড়িঘর ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা-ভাঙচুর-আগুন দেওয়া হচ্ছে। তবে কবরস্থান ভাঙচুরের ঘটনা এই প্রথম ঘটল।

মঙ্গলবার তার কবরস্থানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করার পরে সেলিনা খান ফেসবুকে লিখেছেন, “কতিপয় সন্ত্রাসী আজ দুপুরে গাড়ি নিয়ে এসে মঈন উদ্দীন খান বাদলের পৈতৃক ভিটার কবরে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। …এখন কবরেও মানুষ শান্তিতে থাকতে পারবে না।”

ফেসবুকে শেয়ার করা ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, কবরের ওপর আগুন জ্বলছে। ভাঙচুরের চিহ্ন রয়েছে কবর ও তার আশপাশে।

পরে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে সেলিনা খান বলেন, “একটি গাড়ি নিয়ে এসে কয়েকজন দুর্বৃত্ত কবরস্থানের ওপরের গাছ, ফটক ও নামফলক ভাঙচুর করে। তারা কবরের ওপর আগুন ধরিয়ে দেয়। আমরা কেউ তখন ছিলাম না। পরে এসে দেখি এই অবস্থা। বিষয়টি বোয়ালখালী থানায় জানানো হয়েছে।”

এই হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করে সেলিনা খান আরও বলেন, “একটি নিরপেক্ষ সরকারের আমলে যদি মানুষ কবরেও শান্তিতে থাকতে না পারে, তাহলে আমরা কোথায় যাব? বাদল কখনও কোনও দুর্নীতির সঙ্গে ছিলেন না। তার কোনও বদনাম নেই। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা।”

কবরে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে নিজে ঘটনাস্থলে যান উল্লেখ করে বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সারোয়ার বলেন, “এখানে ভাঙচুর ও আগুনে পোড়ার কিছু আলামত পাওয়া গেছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, সেবিষয়ে উনার (মঈনউদ্দীন খান বাদল) পরিবার কিংবা স্থানীয়রা কিছুই বলতে পারছেন না। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত