Beta
বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

ডিসেম্বরে ‘মজা-করি’ ডিজাইন উৎসব

ডিসেম্বরে 'মজা-করি' ডিজাইন উৎসব
ডিসেম্বরে 'মজা-করি' ডিজাইন উৎসব
[publishpress_authors_box]

‘মজা-করি’ শিরোনামে ডিজাইন উৎসব আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে পাড়া ও গ্যাটে ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ।

গত চার বছর ধরে জার্মান ফেডারেল অফিসের অর্থায়নে ঢাকায় শ্রমজীবী মানুষের আবাস কড়াইল নিয়ে কাজ করছিল তারা।

এরই ফলাফলে কড়াইলের একমাত্র পাবলিক স্পেস অর্থ্যাৎ কড়াইল বস্তির টিঅ্যান্ডটি কলোনির এরশাদ মাঠে নির্মাণ হবে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এই কেন্দ্র উদ্বোধন উপলক্ষে পাড়া ও গ্যাটে ইন্সটিটিউট আয়োজন করবে ’মজা-করি’ ডিজাইন উৎসব।

সোমবার এসব ঘোষণা দিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শুরুতেই বক্তব্য রাখেন গবেষণা কেন্দ্রিক স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান পাড়ার ভিজ্যুয়াল রিসার্চার তারান্নুম নিবিড়।

উপস্থিত অতিথিদের ‘এই দীর্ঘ পথচলার’ গল্প শোনান তিনি।

তারান্নুম নিবিড় বলেন, “আমরা বিগত চার বছর কড়াইলের মানুষের সঙ্গে থেকে গবেষণা করেছি। জানতে চেয়েছি তাদের কী প্রয়োজন? কেমন জায়গা তারা চায়?

“আর তার নিমিত্তেই তাদেরই অংশগ্রহণে আমরা একটি মডেল নির্মাণ করি। পরবর্তীতে সেই মডেলের ওপর ভিত্তি করেই আমরা আজকের এই সাংস্কৃতিক কেন্দ্রকে রূপদান করি।”

কড়াইল ইয়ুথ ভলেন্টিয়ারদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আসমা, জনি, এনামুল ও হাসান।

কড়াইলে বসবাসকারি সবার জন্য একটি ‘মনোরম পরিবেশ’ উপহার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তারা।

এর পাশাপাশি শিক্ষা বা কারিগরি দক্ষতায়ও এই স্থান ভবিষ্যতে ভূমিকা রাখবে।

পাড়ার সহায়তায় একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। কড়াইলে বসবাসরত আরও ব্যক্তিদের নিয়ে এই পর্ষদ ভবিষ্যতে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কান্ডারি হিসেবে কাজ করবে।

জার্মান কালচারাল সেন্টার বা গ্যাটে ইন্সটিটিউট বাংলাদেশের পরিচালক ফ্র্যাঙ্ক ওয়ার্নার বলেন, “আমরা কেবল এতদিন শুধু এলিট বা উচ্চবিত্তদের জন্য কাজ করেছি।

“এই প্রথম জার্মান সরকার, আমরা ও পাড়া মিলে একটি গণমানুষ কেন্দ্রিক কাজ করতে পেরে আমরা সকলেই গর্বিত। আশা করি ভবিষ্যতেও আমাদের এই যাত্রা অব্যাহত থাকবে।”

কড়াইল এলাকায় এই সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন এবং মজা-করি ডিজাইন উৎসব হবে ৬-৭ ডিসেম্বর এবং ১৩-১৪ ডিসেম্বরে।

উৎসবে থাকবে স্থাপত্য কলার ডিজাইন প্রদর্শনী, চিত্রকর্ম, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, ইন্সটলেশন আর্ট, পারফর্মিং আর্ট মিলে ৫০টির বেশি আয়োজন।

কড়াইলের কয়েকটি স্থানের পাশাপাশি ঢাকায় শালা- দ্য নেইবারহুড আর্ট স্পেস, গ্যালারি ১০১ এবং আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ গিয়েও দেখা যাবে এই প্রদর্শনী।

কড়াইল-সিটি অব কালচার প্রজেক্টের অংশ এই উৎসব আয়োজনে অনুদান দিচ্ছে জার্মান ফরেন ফেডারেল অফিসের কালচারাল ইকোনমি প্রোগ্রাম।

উৎসবে কি-পার্টনার হচ্ছে জার্মানির ফ্লোটিং ই ভি, পাড়া ও গ্যাটে ইনস্টিটিউট। স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হবে হাল ফ্যাশন।

এছাড়া ইভেন্ট পার্টনার হচ্ছে বাংলাদেশ এনভায়রনমেন্টাল ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন (বেলা), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউশন অব প্ল্যানার্স, ম্যাপ ফটো এজেন্সি, লিবার্টি মার্কেটিং এজেন্সি।

উৎসব ও আয়োজন নিয়ে বিস্তারিত জানা যাবে www.paraa.org ওয়েবসাইট থেকে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত