বাংলাদেশ জাতীয় হকি দলের ম্যানেজার হয়ে দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুব লীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।
আগামী ২১ আগস্ট প্রশিক্ষণ ও প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট খেলতে ২ মাসের জন্য জার্মানি যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশ হকি দলের। সেই দলের ম্যানেজার হিসেবে নাম দেওয়া হয়েছে সম্রাটের। অথচ তিনি হকি অঙ্গনের কেউ নন এবং নানাভাবে বিতর্কিত ও সমালোচিত। ২০১৯ সালে ক্যাসিনোকাণ্ডে তিনি গ্রেপ্তার হন। এরপর ২০২২ সালে দুর্নীতি, অর্থ পাচারসহ চার মামলায় জামিন পান।
হকি ফেডারেশনের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এ কে এম মমিনুল হক সাঈদও ক্যাসিনোকাণ্ডের জন্য আলোচিত। তিনি দীর্ঘদিন নিরুদ্দেশ ছিলেন। সম্রাটের ঘনিষ্ঠজন হিসেবেই পরিচিত সাঈদ। জার্মানগামী দলে তাঁর নামও আছে।
গত ৩০ জুলাই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তাঁদের জিও প্রদান করে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ১ আগস্ট ঢাকায় জার্মান দূতাবাসে এই দুজনের ভিসার জন্যও আবেদন করা হয়। অবশ্য এরপর রাজনৈতিক পট পরিবর্তনে তাঁদের জার্মানি সফর আটকে গেছে বলে জানিয়েছেন হকি ফেডারেশনের যুগ্ম সম্পাদক আরিফুল হক, ‘ফেডারেশন সভাপতি, বিমানবাহিনী প্রধানের মাধ্যমে এর মধ্যেই জার্মান দূতাবাসে জানানো হয়েছে, তাদেরকে (ইসমাইল ও অন্য কর্মকর্তারা) যেন ভিসা না দেওয়া হয়। তবে খেলোয়াড়রা যেতে পারবে বলে আশা করি।”
ফেডারেশনের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর ও জার্মান কোচ পিটার গেরহার্ডের উদ্যোগেই এই সফরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে তাঁরা বিভিন্ন ক্লাবে খেলার পাশাপাশি একসঙ্গে আবার বিভিন্ন প্রীতি ম্যাচ ও টুর্নামেন্টও খেলবেন। দলনেতা হিসেবে মাহবুবুল এহসান রানা এবং সহকারী কোচ হিসেবে মামুনুর রহমান চয়নেরও যাওয়ার কথা তাঁদের সঙ্গে।
সাঈদের একজন ঘনিষ্ঠ সূত্র জানাচ্ছেন, “তিনি এখন নেপালে। ছাত্রদের কোটাবিরোধী আন্দোলনের মধ্যেই তিনি প্রথমে ভারতে যান। এরপর ভারত সীমান্ত দিয়ে নেপালে চলে যান।” এর আগে নিরুদ্দেশ থাকা অবস্থায় তিনি ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করেছিলেন। সেই পাসপোর্টের মাধ্যমেই মূলত নেপাল চলে গেছেন সাঈদ।