Beta
বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫

বিদ্যুৎ নেই মনিকা চাকমার বাড়ি, সংবর্ধনায় পাওয়া রেফ্রিজারেটরের কী হবে

টানা দুই বারের নারী সাফ জয়ী মনিকা চাকমা দেশকে আলো জ্বালালেও, পাহাড়ে তাদের বাড়ি রয়ে গেছে অন্ধকারেই।
টানা দুই বারের নারী সাফ জয়ী মনিকা চাকমা দেশকে আলো জ্বালালেও, পাহাড়ে তাদের বাড়ি রয়ে গেছে অন্ধকারেই।
[publishpress_authors_box]

টানা দ্বিতীয়বার নারী সাফে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। একের পর এক সংবর্ধনা ও অর্থ পুরস্কার পাচ্ছেন সাবিনা খাতুনেরা। সেই ধারাবাহিকতায় বাফুফে ভবনে রবিবার সংবর্ধনা দিয়েছে ইলেকট্রনিকস পণ্য সামগ্রী নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন।

সাফ জয়ী প্রত্যেক ফুটবলারকে প্রতিষ্ঠানটি একটি করে রেফ্রিজারেটর দিয়েছে। কিন্তু উপহার হিসেবে পাওয়া এই রেফ্রিজারেটর হয়তো ব্যবহারই করতে পারবেন না টুর্নামেন্টের ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে প্রথম গোলদাতা মনিকা। তার বাড়িতে যে বিদ্যুৎ সংযোগই নেই!

মনিকার বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার সুমন্ত পাড়ায়। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে। সেখানে পৌঁছাতে হলে বর্মাছড়ির প্রধান সড়ক থেকে কোনও গাড়িতে যাওয়া সম্ভব না। রাস্তা এবড়ো খেবড়ো। উঁচু নিচু। সেখান থেকে পায়ে হেটে আনুমানিক ২০ গজ যাওয়ার পর একটা পাহাড়ি ছড়া রয়েছে। সেই ছড়ার ওপরেও বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে নড়বড়ে সাঁকো। মনিকাদের এলাকাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়নি। যে কারণে মোবাইল নেটওয়ার্কও পাওয়া যায় না।

২০২২ সালে প্রথমবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর খাগড়াছড়ির তৎকালীন জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস মনিকা চাকমাকে দেখতে যান। ওই সময় মনিকাদের বাড়ি যাওয়ার রাস্তা এবং ছড়ার উপর একটি সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এমনকি বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল স্থানীয় প্রশাসন থেকে। কিন্তু ২ বছর পেরিয়ে গেলেও কোনও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি। কঠিন বাস্তবতা হচ্ছে টানা দুই বারের নারী সাফ জয়ী মনিকা দেশের ফুটবলে বারবার আলো জ্বালালেও, পাহাড়ে তাদের বাড়ি রয়ে গেছে অন্ধকারেই।

অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের হাতে রেফ্রিজারেটর তুলে দিচ্ছেন ওয়ালটন কর্মকর্তা এফ এম ইকবাল বিন আনোয়ার। ছবি: সংগৃহীত

বাফুফে ভবনে যখন রবিবার সংবাদ সম্মেলন চলে, তখন জানতে চাওয়া হয় জাতীয় দলের সব ফুটবলারের বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ আছে কিনা?

মনিকার বাড়িতে আজও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়নি জানিয়ে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেন, “ মনিকার বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। শুধু তাই না, ওদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য ২ কিলোমিটার যে রাস্তা সেটার অবস্থাও খুব খারাপ। আমার যদি সামর্থ্য থাকতো তাহলে আগামীকালই গিয়ে এই সমস্যার সমাধান করে দিয়ে আসতাম।”

দুই পাহাড়ি কন্যা ঋতুপর্ণা চাকমা ও রুপনা চাকমার সঙ্গে মনিকা চাকমা। ছবি: সংগৃহীত

সংবর্ধনা দিচ্ছে যে প্রতিষ্ঠান সেই ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর এফ.এম. ইকবাল বিন আনোয়ারও সাবিনার সুরেই কথা বলেন, “যেহেতু আমাদের প্রধান উপদেষ্টা, ক্রীড়া উপদেষ্টা তাদের সংবর্ধিত করেছেন। যাদের বাড়ি বিদ্যুৎ নেই তাদের বাড়িতে যেন অতি শিগগিরই বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয় এটাও আশা করি। এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার কাছে সুপারিশ থাকবে যে আমাদের সাফজয়ী যাদের বাড়ি বিদ্যুৎ নেই তাদের বাড়িতে যেন বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। আমার মনে হয় এটা খুব বেশি কঠিন কাজ না।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত