Beta
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

মশার পেছনে মাসে খরচ কত

fogmachine160124
[publishpress_authors_box]

শহর জীবনেও মশারি ও কয়েলের চাহিদা কমেনি। যদিও শহরের চার দেয়ালের ফ্ল্যাটবাড়িতে কয়েল থেকে আগুন লেগে যাওয়া, ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট হওয়া, ঘরের ছাদ-দেওয়াল ধোঁয়াতে কালো হয়ে যাওয়া নিয়ে অনেকের অস্বস্তি রয়েছে। নতুন নতুন ফ্ল্যাট বাড়িতে অনেকে দেওয়াল ফুটো করে মশারির পেরেক বসাতেও বেঁকে বসেন।  

তারপরও মশারি বেচাকেনা একেবারে তামাদি হয়ে যায়নি। মিরপুর ১২ নম্বরের একটি শপিং সেন্টারে নানা রঙের ডাবল বেড মশারির দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা। সিঙ্গেল বেড মাপের মশারি পড়বে ২৫০ টাকা।

অনলাইনে একটু খুঁজলে চাইনিজ মশারি মিলবে ১৫০০ টাকায়। এর বৈশিষ্ট্য হলো মশারির চার কোনায় হুক নেই। তাই রাতে কে মশারি টাঙ্গিয়ে দেবে তা নিয়ে পারিবারিক কলহ হওয়ার সুযোগ রইল না। মূলত শিশুদের ঘুমের সময় উপরে যে ছোট মশারি ছড়িয়ে দেওয়া হয়, বড় চাইনিজ মশারিগুলোও সেরকম করেই বানানো।

বাজারে এ ধরনের মশারির আরেক নাম পপ আপ মশারি। ঘরে, বাইরে, ছাদে পপ আপ মশারির তলে বসে ছোট ও বয়স্করা টিভি দেখা, বই পড়া  এবং আড্ডা দিতে পারেন নিশ্চিন্তে। প্লাস্টিক কোট দেওয়া স্টিলের ফ্রেমে আটকানো সাত ফুট দৈর্ঘ্য ও সাড়ে তিন ফুট প্রস্থের মশারি পাওয়া যাবে ১৩৫০ টাকায়।

নবজাতক বা কোলের বাচ্চারা বিছানায় ঘুমিয়েই কাটায় অনেকক্ষণ। এরা কয়েল বা অ্যারোসোলে একেবারে স্বস্তি বোধ করে না। তাই একদম ছোট আকারের পপ আপ মশারির কোনো বিকল্প নেই। বাচ্চাদের জন্য এই মশারির দাম পড়বে ২০০ টাকা। আবার নবজাতকদের জন্য বালিশ-কাঁথা মিলে ব্যাগ পাওয়া যায়; এতে ছোট মশারিও থাকে। এসব সেট ৫০০ থেকে ৬৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে।

এক সময় বাজারে এলো সুগন্ধ ছড়ানো স্প্রে বা অ্যারোসোল। টিভিতে বিজ্ঞাপন দেখে দ্রুত আকৃষ্ট হলো সবাই। এখন বাজারে একাধিক অ্যারোসল ব্র্যান্ড রয়েছে। শীতের এই সময় সুপার স্টোরে অ্যারোসল কিনতে গিয়ে নানা রকম অফারও মিলতে পারে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২০০, ৪০০, ৬২৫, ৮০০ মিলিলিটার অ্যারোসল বোতল পাওয়া যাবে ১৯০, ৩৭৫, ৪৪০, ৬২০ টাকায়। বড় আকারের একটি অ্যারোসল বোতল কেনা হলে অনায়াসে দুই থেকে তিন মাস চলে যায়।

তবে অনেকেই মনে করেন, অ্যারোসলে মশা আসলে মরে না, জ্ঞান হারায়; ওষুধের প্রতিক্রিয়া কেটে গেলে মশা আবারও কানের পাশে গুনগুন গান শোনাতে ছুটে আসে।

এসব আলাপের মাঝে বাজারে এলো বিদ্যুৎ চালিত ছোট ডিভাইস; ভেতরে বোতলে থাকে তরল ভ্যাপোরাইজার। ঘুমের আগে আগে সুইচ চালু করে দিলে হালকা সুবাস ছড়িয়ে যাবে ঘরে। নষ্ট না হলে একটি ডিভাইস সবসময় চালানো যাবে। শুধু তরল ভ্যাপোরাইজার শেষ হলে নতুন বোতল কিনে আনতে হবে।

অনেক ব্র্যান্ডের ডিভাইস সহ ভ্যাপোরাইজার আছে বাজারে; কেনা যাবে ১৫০ থেকে ২২০ টাকার মধ্যে। পরে ৯৯ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে রিফিল কেনা যাবে ।  

ঘর বড় হলে একটি ভ্যাপোরাইজার মশা তাড়াতে কার্যকর নাও হতে পারে। বিছানা বা ঘুমানোর জায়গা যেখানে তার কাছাকাছি এই ভ্যাপোরাইজার ডিভাইস চালিয়ে রাখতে হবে। তাছাড়া বাড়ির প্রত্যেকের ঘর আলাদা হলে আলাদা আলাদা বিদ্যুৎচালিত ভ্যাপোরাইজার ব্যবহার করতে হবে।  

অ্যারোসল ও ভ্যাপোরাইজারের জনপ্রিয়তার মাঝেও কয়েলের চাহিদা কিন্তু কমেনি। টিভিতে কয়েলের বিজ্ঞাপন আগের দিনের মত দেখা না গেলেও দোকানে একাধিক ব্র্যাণ্ডের কয়েল পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিযোগিতায় টিকে গ্রাহক আকর্ষণে কয়েলের প্যাকেজিং হয়েছে আরও চটকদার।

কম ধোঁয়া হবে অথবা ধোঁয়াহীন এবং টানা ৮ ঘণ্টা, ১০ ঘণ্টা অথবা ১২ ঘণ্টা জ্বলবে এমন প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছে কয়েল ব্র্যান্ডগুলো। কয়েলের সংখ্যা ও কতক্ষণ জ্বলবে এসব মিলিয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের প্যাকেট পাওয়া যাবে ৭০ টাকা, ৮০ টাকা এবং ১০০ টাকায়।

সাধারণত এক প্যাকেটে ১০টি কয়েল থাকে। তিন প্যাকেট কিনলে আরেক প্যাকেট ফ্রি পাবেন এমন সাশ্রয়ী প্যাকেজও আছে দোকানে; এতে গুনতে হবে ১৮০ টাকা।

প্রত্যেকের ঘরে আলাদা করে কয়েল দিলে সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা মানে ১২ ঘণ্টায় অন্তত তিনটি কয়েল ব্যবহার হয়ে যায়। অনেকে একেক ঘরে ঘণ্টা খানেক কয়েল জ্বালিয়ে ধোঁয়া ছড়িয়ে আরেক ঘরে ওই কয়েল বসিয়ে রাখেন। খুব বেশি মশার প্রকোপ না হলে এভাবে বাড়তি কয়েল কেনার খরচ বাঁচানো সম্ভব। 

মিরপুরের পল্লবীতে গৃহ সহায়িকার কাজ করেন স্বপ্না। প্যাকেট কিনলে প্রতিটি কয়েল ১০ টাকা পড়ে যায়; এই খরচ ‘একটু বেশি’ বলে সকাল সন্ধ্যার কাছে জানালেন তিনি।

এ কারণে ‘খোলা কয়েল’ কেনেন স্বপ্না; প্রতিটির মূল্য পাঁচ টাকা। প্রতিদিন সন্ধ্যায় ঘণ্টা দুয়েক কয়েল জ্বালিয়ে রাখা হয় তার ঘরে।

”ঘুমাতে গেলে তো মশারি খাটিয়ে ঘুমানো হয়। তখন কয়েল জ্বালাই না আর। কিন্তু দামে কম হলেও এই কয়েলগুলো আসলে তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায়,” বললেন স্বপ্না।

একটি কয়েলে দুদিন চলে স্বপ্নার। তাহলে মাসে প্রায় ১৫টির মত কয়েল কিনতে হয়। আর তাতে মাসে খরচ হয় ৭৫ টাকা। 

ওদিকে সকাল সন্ধ্যার কাছে পল্লবীর এক বাড়ির কেয়াটেকার আব্দুর রাজ্জাক জানালেন, এই ভবনে নৈশ প্রহরীর জন্য মাসে ১৯৫ টাকার কয়েল খরচ হয়।

“সারারাত ডিউটিতে থাকা গার্ডের একটি কয়েল খরচা হয়ে যায়। মাসে ৩০টি কয়েল লাগে; মানে তিন প্যাকেট কয়েল কিনতে হয়।” 

কয়েল জ্বালিয়ে ঘরে নিরাপদে রাখার জন্য এখন সস্তায় ঢাকনা সহ গোলাকার ট্রে পাওয়া যাচ্ছে। এলাকার ভ্যানগাড়ির পসারে স্টেইনলেস স্টিলের তৈরি এই ট্রে মিলবে ১০০ টাকার মধ্যে।       

ব্যাডমিন্টনের মত সোয়াটার বা রিচার্জেবল ব্যাটগুলো দীর্ঘদিন ধরে বাড়ি, কর্মক্ষেত্র, দোকানে মশা তাড়াতে কাজে দিচ্ছে। বিশেষ করে বাড়ির ছোটরা এসব রিচার্জেবল ব্যাট হাতে মশা তাড়াতে আনন্দ পায়। মশা তাড়াতে এই সোয়াটার কেনা যাবে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে।

ভোক্তাদের কেউ কেউ বলেন, এসব ব্যাটে এক বছর পরে চার্জ বেশিক্ষণ থাকে না। আবার তিন থেকে ছয় মাস পরেও রিচার্জেবল ব্যাটে এই সমস্যা দেখা দেয়।   

একজন ভোক্তা পরামর্শ হিসেবে সকাল সন্ধ্যার কাছে বলেন, “টানা এক ঘণ্টা চার্জে বসিয়ে ব্যবহার করলে ভালোই কাজ করে।”

এসবের বাইরে মশা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখতে দেশে সুপারস্টোরগুলোতে চলে এসেছে লোশন ও ক্রিম। কোনো কোনো ক্রিম পণ্যের গায়ে বলা আছে, ত্বকে মেখে নিলে আট ঘন্টা পর্যন্ত মশার কামড় থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা যাবে। ৫০ গ্রাম ক্রিম ১২০ টাকা, ১০০ গ্রাম ক্রিমের প্যাকেট ২১০ টাকায় পাওয়া যাবে।  ৫০ মিলিলিটার লোশন বোতল পড়বে ৯৯ টাকা, ১০০ মিলিলিটার লোশন পড়বে ২০০ টাকা। এসব লোশনও মশা থেকে সুরক্ষা দেবে আট ঘণ্টা পর্যন্ত।এসব ক্রিম ও লোশন মা ও শিশুর ত্বকের জন্য নিরাপদ বলে আশ্বস্ত করছে ব্র্যান্ডগুলো।

কম আয়ের পরিবারে কয়েল ও মশারি ছাড়া মশা তাড়ানোর বিকল্প উপায় খরচ সাপেক্ষ। সিটি করপোরেশন যদি ওইসব এলাকায় ফগার মেশিন চালনা করেন তবেই তাদের সুরক্ষা ও স্বস্তি।

মধ্যবিত্তদের ঘরে মিশ্র পদ্ধতিতে মশার সাথে লড়াই চলে। ঘরে শিশু থাকলে অ্যারোসল নিয়মিত ব্যবহারে অনীহা থাকে পরিবারে। তবে এই মৌসুমে অন্তত একটা অ্যারোসল এবং মাসে দুতিনটা কয়েল প্যাকেট চার সদস্যের একটি পরিবারের খরচের তালিকায় থাকবে বলে অনুমেয়। আবার বাড়িতে বসার ঘর ও শোবার ঘর মিলিয়ে অন্তত তিনটি ঘরে তিনটি ভ্যাপোরাইজার রাখা হতে পারে। মশা ঠেকাতে ক্রিম বা লোশন গায়ে মাখার অভ্যাস এখানে কম হলেও যারা ভ্রমণে যান, খোলা পরিবেশে দাওয়াতে যান তাদের অনেকে হাতে-পায়ে ক্রিম-লোশন মাঝে মাঝে মেখে থাকেন।  ভ্যাপোরাইজার ও রিচার্জেবল ব্যাট ব্যবহার করলে বাড়ির বিদ্যুৎ বিলে সামান্য বাড়তি টাকা গুণতেই হবে।

দেশে ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি
দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি
ডেঙ্গু পরীক্ষায় খরচ

২০১৯ সালে সারাদেশে ব্যাপকভাবে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার পর সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা বিনামূল্যে করে দিয়েছিল। এরপর সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্তে এনএসওয়ান, আইজিজি এবং আইজিএম পরীক্ষায় ১০০ টাকা নেওয়া হয়। আর বেসরকারি হাসপাতালে এই পরীক্ষার জন্য ৩০০ টাকা ফি নির্ধারণ করে দেয় সরকার। এছাড়া অনেক জায়গায় করপোরেশন বিনা পয়সাতে ডেঙ্গু পরীক্ষা করে। 

জ্বরের মাত্রা বেশি হলে এবং সঙ্গে অন্যান্য স্বাস্থ্য জটিলতা রয়েছে কিনা বুঝতে রোগীর রক্তের কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট বা সিবিসি, আরবিএস বা র‌্যানডম ব্লাড সুগার, সিরাম ইলেকট্রোলাইট, সিরাম ক্রিয়েটিনন, প্লাটিলেট কাউন্ট পরীক্ষাও করতে হয়। এরকম ১০ রকমের পরীক্ষা করতে সরকারি হাসপাতালে মোট ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকা খরচ হবে।

আবার অনেক হাসপাতালে এসব পরীক্ষার একেকটি করতেই ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা নেওয়া হয়।

ঘরে জ্বর মাপার একটি থার্মোমিটার রাখা এই সময় কাজে দেয়। সাধারণ ডিজিটাল থার্মোমিটার এলাকার ফার্মেসিতে ১৫০ থেকে ২০০ টাকাতেই কেনা যাবে।

বিশেষ করে বয়স্কদের রক্তচাপ নজরে রাখতে ডিজিটাল বিপি মেশিনও রাখা যায় বাড়িতে। খুব ভালো মানের ডিজিটাল বিপি মেশিন ৫০০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। ১৫০০ থেকে ২৫০০ হাজারের মধ্যেও ভালো ডিজিটাল মেশিন পাওয়া যায়। দাম অনুসারে ছয় মাস থেকে দুই বছরের ওয়ারেন্টি মিলবে এসব পণ্যে। 

অন্য কোনো শারীরিক জটিলতা না থাকলে ডেঙ্গুতে সাধারণত বাড়িতে বিশ্রাম ও জ্বর কমাতে প্যারাসিটামল বা নাপা খেতে বলা হয়।  ৫০০  মিলিগ্রাম ডোজের এক পাতা নাপার দাম ১২ টাকা। ৬৬৫ মিলিগ্রাম ডোজের নাপা এক পাতা ৩০ টাকা। নাপা এক্সট্রা এক পাতা পড়বে ২৪ টাকা।  যদি বাড়ির সবার একই সময় জ্বর হয় এবং একজন দিনে দুটো করে ৫০০ মিলিগ্রাম ডোজের ট্যাবলেট খান তাহলে এক পাতা থেকে আটটি প্যারাসিটামল একদিনেই শেষ হচ্ছে। 

মশা ঠেকানোর টোটকা

১৯৯৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ২৭ বছরে  সিটি করপোরেশন খরচ করেছে এক হাজার ২৭৫ কোটি ৬১ লাখ ১০ হাজার টাকা। ২০২০ সালে মেয়র সহ গোটা করপোরেশনকে এইডিস মশা নিধনে ’ব্যর্থ’ বলে মন্তব্য করেছিল হাইকোর্ট।  

২০২৩-২৪ অর্থবছরে মশা নিয়ন্ত্রণে সব মিলিয়ে ১২১ কোটি ৮৪ কোটি টাকা ব্যয় করবে  ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এর মধ্যে ফগার মেশিনসহ যন্ত্রপাতি পরিবহনে খরচ হবে পাঁচ কোটি। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মশার জন্য রেখেছে ৪৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।  ফগার, হুইল, স্প্রে মেশিন পরিবহনে তাদের লাগবে  তিন কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি শহর ঘুরে এসে ২০২৩ সালে উত্তর ঢাকার মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ধোঁয়া দিয়ে অর্থ্যাৎ  মশা মারতে ফগিং পদ্ধতিটি ’ভুল’।

এরপর লার্ভা ধ্বংসে সিঙ্গাপুর থেকে বিটিআই (ব্যাসিলাস থুরিনজেনসিস সেরোটাইপ ইসরায়েলেন্সিস ) আনিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।  প্রতি কেজি বিটিআই তিন হাজার ৩৮৫ টাকা ২০ পয়সা দরে পাঁচ টন বিটিআই কিনতে খরচ হয়েছে এক কোটি ৬৯ লাখ ২৬ হাজার টাকা।  পরে জানা যায়, নকল বিটিআই আমদানি করা হয়েছে।

মশা মারতে করপোরেশনের কামান দাগানো চলছেই। অনলাইনেও খুব চলেছিল কমলালেবু বা লেবু আধাআধি কেটে তাতে অনেকগুলো লবঙ্গ বসিয়ে ঘরের কোনে রেখে মশা তাড়ানোর হ্যাক। এসব টোটকা চেষ্টা করা যেতেই পারে; শুধু খেয়াল রাখতে হবে, কোটি টাকা খরচ না হলেও কমলালেবু ও লবঙ্গ খুব একটা সস্তা নয় বাজারে।

বিশেষ করে যাদের স্লাইডিং জানালা, তারা অবশ্যই স্লাইডিং নেট লাগিয়ে নেবেন। জানালায় স্লাইডিং প্যানেল এমনভাবে বসাতে হবে যেন কোনো ফাঁকা না থাকে। একবার ঠিক মত বসিয়ে নিলে এককালীন খরচে দীর্ঘদিন মশা ঠেকানোর একটা ব্যবস্থা হয়ে যায়।

স্লাইডিং নেট বসানোর সুযোগ না থাকলে তুলনামূলক কম খরচে বারান্দা ও জানালাতে নেট বসানো যাচ্ছে। প্রতি স্কয়ার ফিট ৪৫ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে নেট বসানো যাবে। বাসা বদলালে এসব নেট খুলে নেওয়া যায়।

দরজার তলায় ফাঁকা থাকলে শীতের বাতাসের সাথে  মশাও ঢুকতে পারে ঘরে। তাই সহজে দরজায় তলায় বসিয়ে দেওয়ার ডোর বটম সিলিং স্ট্রিপ মিলছে।  অনলাইনে এই পণ্য ১২০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

শীতকালে যেহেতু সন্ধ্যা ঝুপ করে নেমে আসে, তাই ঘরের জানালা, বারান্দার দরজা অবশ্যই বন্ধ করে দিন বিকাল তিনটা থেকে চারটার মধ্যেই। এতে ঘরে মশা অনেকটাই কম হবে।

এসবের পাশাপাশি মশার প্রজনন রোধে এলাকাবাসী মিলে অর্থ খরচ করে বাড়ির আশপাশ পরিচ্ছন্ন রাখুন; সবাই মিলেই সুস্থ থাকুন। 

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত