Beta
শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

ঢাকায় বিএনপি-জামায়াতের দেড়শ জন গ্রেপ্তার

কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। ঢাকার মহাখালী রেলগেইট এলাকা থেকে তোলা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের ধাওয়া দিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। ঢাকার মহাখালী রেলগেইট এলাকা থেকে ১৬ জুলাই তোলা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে নাশকতায় বিএনপি-জামায়াত জড়িত ছিল বলে দাবি করে আসছে সরকার।

রাজধানীতে এই দুই দলের দেড়শ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. হারুন অর রশিদ।

তিনি মঙ্গলবার মিন্টো রোডে গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে নাশকতায় জড়িতদের একে একে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের দেড়শ’ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।”

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা গত ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আক্রান্ত হওয়ার পরদিন থেকে পরিস্থিতি সংঘাতময় হয়ে ‍উঠতে থাকে। গত শুক্রবার নাগাদ দেশজুড়ে সংঘাতে শতাধিক মানুষ নিহত হওয়ার পর সরকার সান্ধ্য আইন জারি করে সেনা মোতায়েন করে। এরপর পরিস্থিতি ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে আসে।

এই সংঘাতের মধ্যে সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা যেমন মেট্রোরেল স্টেশন, বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন, সেতু ভবনে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বলে আসছেন, বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারকে উৎখাতে পরিকল্পিতভাবে এই আন্দোলনে ঢুকে নাশকতা চালায়।

তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, সরকার নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে শুধু বিএনপির ওপর দোষই চাপাচ্ছে না, এই ছুতো ধরে বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন পুনরায় শুরু করেছে।

বিএনপির অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় পুলিশ কর্মকর্তা হারুন বলেন, “বিএনপি করে বলেই তাদের গ্রেপ্তার করেছি, এমনটি নয়। গ্রেপ্তারকৃতদের মোবাইল ফোনে নাশকতার নির্দেশনার মেসেজ পাওয়া গেছে। বিএনপি নেতা তারেক রহমানের নির্দেশে এসব সহিংসতা চালানো হয় বলে গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত