Beta
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে শনিবার

শনিবার ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
শনিবার ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
[publishpress_authors_box]

শনিবার শুরু হচ্ছে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন। দিনব্যাপী এই কর্মসূচিতে ৬-৫৯ মাস বয়সী প্রায় ২ কোটি ২২ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুর্গম এলাকায় শনিবারের পর আরও চার দিন এই কর্মসূচি পালন করা যাবে।  

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, শনিবার ৬-১১ মাস বয়সী প্রায় ২৭ লাখ শিশুকে নীল রঙের এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী প্রায় এক কোটি ৯৫ লাখ শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ক্যাপসুল খাওয়ানোর সময় শিশুদের ভরাপেটে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে।

দেশের প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ২ লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মীর এই ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা ছিল। তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে উপকূলীয় অঞ্চল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ১ হাজার ২২৪টি কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। এসব কেন্দ্রে পরে এই কর্মসূচি পালন করা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, “আমরা বছরে দুবার ভিটামিন এ ক্যাম্পেইন করে থাকি। প্রতিবছর আমরা দু’রকমের ক্যাপসুল খাইয়ে থাকি।

“৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল রঙের এবং ১২-৫৯ বয়সী শিশুদের লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। তবে শিশুদের এটি খালি পেটে খাওয়ানো যাবে না। ক্যাপসুলটি কেটে চিপে শিশুর মুখে দিতে হবে। তবে শিশু বেশি কান্নাকাটি করলে বা তার শ্বাসকষ্ট হলে এই ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না।”

ঘূর্ণিঝড় রেমালের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলীয় অঞ্চলে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো স্থানীয় ব্যবস্থাপনায় পারলে সারা দেশের সঙ্গে শনিবার এই কর্মসূচি পালন করবে। সম্ভব না হলে পরে করা যাবে।

“এছাড়া সিলেটের অনেক অঞ্চল এখন বন্যাকবলিত। এ কারণে সিলেট ও সুনামগঞ্জের বেশ কিছু এলাকা হয়তো এখনই এই কর্মসূচির আওতায় নাও আসতে পারে। এর বাইরে সারা দেশে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন চলবে।”

শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুলের উপকারিতা সম্পর্কে তিনি বলেন, “এটি খাওয়ালে শিশুর পুষ্টি ও স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাড়ে। এছাড়া রাতকানা রোগ, দীর্ঘমেয়াদি রোগ (কো-মরবিডিটি) ও মৃত্যুহার হ্রাস পায়। পাশাপাশি হাম, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার মতো রোগ কমাতেও সাহায্য করে ভিটামিন এ।”

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ভিটামিন মূলত দুই ধরনের। একটি পানিতে দ্রবীভূত হয়। অন্যটি চর্বিতে দ্রবণীয়।

যে ভিটামিন পানিতে দ্রবীভূত হয়, সেগুলো ওয়াটার সলিউবল, যেমন ভিটামিন সি। আর ফ্যাট সলিউবল হচ্ছে যেগুলো চর্বিতে জমা হয়। ভিটামিন এ ফ্যাট সলিউবল। এটা অনেকদিন শিশুদের শরীরে জমা থাকবে এবং কার্যকর থাকবে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত