Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪
Beta
রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪

মুমিনুল-মোসাদ্দেকদের নিয়ে চট্টগ্রামেও দাপট আবাহনীর

2221
Picture of শিহাব উদ্দিন

শিহাব উদ্দিন

চট্টগ্রাম থেকে
চট্টগ্রাম থেকে

মিরপুরে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শেষ ম্যাচ আজ। ঘটা করে ২৩তমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন আবাহনীর হাতে তুলে দেয়া হবে শিরোপা। ঢাকায় যখন ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটির এই সাফল্য, চট্টগ্রামে বাদ যাবে কেন। চট্টগ্রামেও চলমান প্রিমিয়ার লিগে দাপট দেখিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম আবাহনী।

আর এই দলের হয়ে খেলছেন নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশকে টেস্ট জেতানো অধিনায়ক মুমিনুল হক ও ঢাকা আবাহনীর বর্তমান অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। সবশেষ গত শনিবারের ম্যাচেও এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে খেলেছেন দুজনে। ওই ম্যাচে আবাহনী জিতেছে ১১২ রানের বিশাল ব্যবধানে। লিগের বাকি দুই ম্যাচেও এ দুই জাতীয় তারকাকে পাচ্ছে আবাহনী।

১২ দলের চট্টগ্রাম প্রিমিয়ার লিগে আবাহনী ছাড়া বড় দল ব্রাদার্স, মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়াচক্র ও সি পি এ স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন। এই লিগে শেখ জামাল, প্রাইম ব্যাংক, মোহামেডানের মতো দল নেই। তবুও স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে দারুণ শক্তিশালী আবাহনী।

দলটির চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। ৯ ম্যাচ থেকে ৮ জয়ে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে ইতিমধ্যে তালিকার শীর্ষে আছে তারা। সমান ম্যাচে ৭ জয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ব্রাদার্স। বাকি দুই ম্যাচে অবশ্য আবাহনী হোঁচট খেলে বা বৃষ্টির কারণে ম্যাচ পরিত্যক্ত হলে আর ব্রাদার্স নিজেদের ম্যাচে জিতে গেলে সমীকরণ কঠিন হবে।

তাই এখনই ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও আবাহনীর শিরোপা জয় নিয়ে কিছু বলতে চাইছেন না ক্লাবের ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান গওহর জামিল। সকাল সন্ধ্যাকে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করার কথাই বলেছেন, “আমরা চ্যাম্পিয়ন হবো কিনা তা সামনের সপ্তাহ ছাড়া বলা যাবে না। পয়েন্টের দিক থেকে আমরা এগিয়ে আছি। কিন্তু সামনের দুই ম্যাচে অনেক কিছুই হতে পারে। ব্যাপারটা হচ্ছে বৃষ্টি হলে ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়ে যায়। জয়ের জন্য তিন পয়েন্ট আর টাই হলে এক পয়েন্ট করে। যদি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয় তাহলে যে কোন কিছু হতে পারে।”

তবে মুমিনুল ও মোসাদ্দেকদের নিয়ে শিরোপা জয়ের আশা রাখছেন জামিল, “আমরা আত্মবিশ্বাসী চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ব্যাপারে। আমরা নিজেদের দলটাও বেশ শক্তিশালী হিসেবেই গড়েছি। জাতীয় ক্রিকেটার মুমিনুল হক খেলছেন, ঢাকা আবাহনীর অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেনও আছেন। ওরা সবাই মিলে আমাদের যে পরিকল্পনা তা মাঠে ভালোই প্রতিফলন করছে।”

চট্টগ্রাম লিগটি কেমন হয় তা জানাতে চাইলে সকালসন্ধ্যাকে মুমিনুল বলেছেন, “আমি এখানে আগেও খেলেছি। এখানে এক দলে তিনজন বিদেশি খেলতে পারে। এজন্য বিদেশিরা ভালো হলে দল ভালো হয়। লড়াইটা দুই থেকে তিন দলের মধ্যেই হয় বেশি। আবাহনী, ব্রাদার্স এই রকম কয়েকটা দল। তো চট্টগ্রামের হিসেব করলে অবশ্যই ভালো লিগ। কিন্তু যদি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের সঙ্গে তুলনা করেন তাহলে হবে না। ঢাকার ক্রিকেট তো অবশ্যই আলাদা। সেখানে দেশের সেরা ক্রিকেটাররা খেলে।” 

চট্টগ্রাম আবাহনী তার কাছে সবচেয়ে এগিয়ে, “যে দলের হয়ে খেলছি আবাহনী, এই দলের আশেপাশে কেউ নেই। এই দলের স্থানীয় ক্রিকেটাররা অনেক ভালো। ওরা সারা বছর এই দলের হয়েই খেলে, ওদের নিজস্ব অ্যাকাডেমি আছে, ওরা নিজেরা অনুশীলন করার খুব ভালো সুবিধা পায়। এই দলের মালিক দলটির জন্য প্রচুর অর্থ খরচ করেন।”

আবাহনীর হয়ে এক ম্যাচ আগেই সেঞ্চুরি করেছেন মুমিনুল। খেলবেন লিগের শেষ দুই ম্যাচও। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের পর লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের হয়ে তিন ম্যাচ খেলে রান পাননি। তাই চট্টগ্রামের লিগে রানে ফেরাটা এই ব্যাটারের জন্য আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে নেয়ার উপলক্ষ্য। সেই সঙ্গে যদি চ্যাম্পিয়ন হতে পারেন তবে বাড়তি ভালো লাগাও কাজ করবে।

এদিকে মোসাদ্দেকের জন্যও ব্যাপারটা দারুণ হবে। ঢাকা আবাহনীর হয়ে শিরোপা জয়ের পর চট্টগ্রামেও একই জার্সিতে শিরোপা উৎসব করা।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

ad

সর্বাধিক পঠিত