Beta
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

মায়ের সান্নিধ্যে তারেক

লন্ডনে মা খালেদা জিয়াকে কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরেন তারেক রহমান। ছবি : সংগৃহীত
লন্ডনে মা খালেদা জিয়াকে কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরেন তারেক রহমান। ছবি : সংগৃহীত
[publishpress_authors_box]

অনিশ্চয়তা, উৎকণ্ঠা কেটে গেছে অভ্যুত্থানে; এরপরই অনেকে ভেবেছিলেন ছেলে দেশে ফিরবেন, দেখা হবে মা-ছেলের। কিন্তু ছেলে দেশে ফেরেননি।   

উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন গেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। অবশেষে সাড়ে সাত বছর পর ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে তার।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া সেখানে পৌঁছান যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ৫ মিনিটে। বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা ৫৮ মিনিটে হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।  

এ সময় তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও পুত্রবধূ জোবায়দা রহমান বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান। প্রতীক্ষা শেষে মাকে কাছে পেলে হাস্যোজ্জ্বল দেখা যায় তারেক রহমানকে। হুইল চেয়ারে বসা মার গলা জড়িয়ে ধরেন তিনি। 

চিকিৎসার জন্য সবশেষ ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এরপর তিনি আর কোনও বিদেশ সফর করেননি। এ সময়ের মধ্যে ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গেও সরাসরি দেখা হয়নি তার।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে ছাড়া পেয়ে ২০০৮ সালে সপরিবারে লন্ডন গিয়ে এখনও সেখানেই রয়েছেন তারেক রহমান।

হিথ্রো বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার হযরত আলী খান। তাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমদসহ অনেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির দলীয় সূত্র আগেই জানায়, খালেদা জিয়াকে লন্ডন ক্লিনিকে’ ভর্তি করা হবে। বিকাল সাড়ে ৫টায় তাকে সেই ক্লিনিকে নেওয়া হয়।

হিথ্রো বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষে বিমানবন্দরের চতুর্থ টার্মিনালের রয়্যাল ভিভিআইপি গেইট দিয়ে বের হয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে সরাসরি লন্ডন ক্লিনিকে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে।

সেখানে কিছুদিন চিকিৎসার পর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডে জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তার চিকিৎসা নেওয়ার কথা রয়েছে।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসার সামগ্রিক সমন্বয় করবেন তারেকের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান। তার সঙ্গে বাংলাদেশে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরাও থাকবেন।

৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। তার লিভার সিরোসিস ধরা পড়ে কয়েক বছর আগে। এর মধ্যে তার হৃদপিণ্ডে স্টেন্ট বসানো হয়, বসানো হয় পেস মেকারও।

মঙ্গলবার রাত সোয়া ৮টার পর খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিমানবন্দরের উদ্দেশে গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রওনা হয়। রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে তিনি বিমানবন্দরে পৌঁছান।

তাকে বিদায় জানাতে গুলশান থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত পথে পথে বিএনপির নেতাকর্মীদের ঢল নামে। নেতাকর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে দলের চেয়ারপারসনকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানান।

গাড়িতে খালেদা জিয়ার পাশে ছিলেন তার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি। গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ও তার স্ত্রী কানিজ ফাতিমা, প্রয়াত ভাই সাইদ ইস্কান্দারের স্ত্রী নাসরিন ইস্কান্দারসহ আত্মীয়স্বজনরা তাকে বিদায় জানান।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত