পঞ্চগড় শহরের মেডিসিন রোড এলাকায় নিজের এক মাস বয়সী মেয়েকে বেচতে আসা সেই নারী মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন।
মঙ্গলবার সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “বিষয়টি আমি পরে অবগত হই। তাৎক্ষণিক সমাজসেবা অফিসারকে অবগত করলে তিনি সেখানে যান। পরে বাচ্চাটি ও মহিলাটিকে উদ্ধার করা হয়।”
ওই নারীকে চিকিৎসার জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে জানিয়ে ইউএনও বলেন, “ভারসাম্যহীন মহিলাটি সুস্থ না হলে বাচ্চাটিকে সরকারি ‘শিশু পরিবারে’ রাখা হবে।”
ওই নারী সোমবার বিকালে পঞ্চগড় শহরের মেডিসিন রোড এলাকায় গিয়ে কোলে থাকা এক মাস বয়সী মেয়েকে বিক্রি করে দেওয়ার ইচ্ছার কথা জানান। পরে দর কষাকষি করে আড়াই হাজার টাকায় শিশুটিকে কিনে নেন ইসমাইল হোসেন নামে স্থানীয় একজন। তবে কিছু সময় পর আবার শিশুটিকে ফেরত নেন ওই নারী।
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা যায়। এক পর্যায়ে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে সোশাল মিডিয়াতেও।
সন্তান বিক্রি করতে চাওয়া নারীর পরিচয় শনাক্ত হয়নি। তবে স্থানীয়রা বলছেন, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীর বাড়ি আটোয়ারী উপজেলায়। বিভিন্ন হাট-বাজারে তাকে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে।
শিশুটিকে কিনতে চাওয়া ইসমাইল হোসেন জানান, তার নিঃসন্তান ভাগনির জন্য শিশুটিকে কিনতে চেয়েছিলেন তিনি।
সকাল সন্ধ্যাকে তিনি বলেন, “আমি মেকানিকের কাজ করি। বাজার করার সময় দেখি ওই মেয়ে তার সন্তানকে বিক্রি করবে বলছে। আমার এক ভাগনির সন্তান নেই। আমি শিওর হয়ে ভাগনির জন্য তার কাছ থেকে বাচ্চাটি ২ হাজার টাকায় ক্রয় করতে চাই। এর মাঝে সে আরও টাকা চাইলে আরও ৫শ’ টাকা দিয়ে বাচ্চাটিকে নিজের কোলে নেই। এর পর বাড়ি ফেরার পথে সে আবার দৌড়ে এসে টাকা ফেরত দিয়ে বাচ্চাটিকে নিয়ে নেয়।”



