লাখ লাখ তিন চাকার যান ও মোটরসাইকেলের জন্য দেশের সড়ক-মহাসড়কগুলোয় শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বেপরোয়া ড্রাইভিং, মোটরবাইক ও ইজিবাইকের কারণে সারাদেশে দুর্ঘটনা ঘটলেও সড়ক থেকে এসব বাহন বাদ দেওয়ার উপায় নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
সম্প্রতি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে জানিয়ে তিনি বলেন, “দুর্ঘটনার চিত্র দেখলে দেখা যাবে যে, বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেল চালানোর কারণেই সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরপর আছে ইজিবাইক। তারাও বেপরোয়া গতিতে এটি চালাচ্ছেন। সড়ক থেকে এ বাহনগুলোকে বাদ দেওয়ার উপায় নেই। এজন্য সচিবকে দ্রুত নীতিমালা করতে বলা হয়েছে।
“সড়কে শৃঙ্খলা আনতে নীতিমালা তৈরি খুব জরুরি। মানুষের জীবন আগে, জীবিকা পরে। এক্ষেত্রে জীবিকাকে রক্ষা করতে গিয়ে জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলা হচ্ছে।”
মহাসড়কে ইজিবাইকের মতো যান চলাচলের পেছনে ভোটের রাজনীতি করা ব্যক্তিদের দায়ী করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, “ইজিবাইক হাইওয়েতে চলে, এটিকে অনেকে সমর্থন করেন অথবা পেছন থেকে মদদ দেন।”
এবারের ঈদযাত্রা তুলনামূলক ভালো হয়েছে জানিয়ে সংশ্লিষ্টদের ফিরতি পথের দিকে নজর রাখতে নির্দেশ দেন।
এসময় সেন্টমার্টিন ইস্যুতে বিএনপির সমালোচনার জবাব দেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, “সেন্টমার্টিনে যে গুলিটা এসেছে, সেটা মিয়ানমার সরকার করেনি। এটা আরকান আর্মি নামে যে বিদ্রোহীরা আছে, তাদের গুলি।”
উস্কানির মুখে যুদ্ধে না জড়িয়ে বাংলাদেশ আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধানে বিশ্বাসী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “সেখানে যে জাহাজের কথা বলা হয়েছে, সে জাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। মিয়ানমার উস্কানি দিলে আমরা তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করব। একটা সমাধান বের করবো। যুদ্ধে জড়াব না।
“আমরা এখনও কোনো আক্রমণ দেখিনি। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ ৫৪টি গোষ্ঠী আছে। ওদের অভ্যন্তরীণ অনেক সমস্যা। তাদের নৃতাত্ত্বিক বিদ্রোহীরা আছে। তাদের থেকেই এসব ঘটনা ঘটছে।”
সেটার জন্য মিয়ানমার সরকারকে দায় না দিয়ে বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যেতে চেষ্টা করবে বলেও জানান তিনি।