তিনটি নতুন সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ ও ভুটান। এছাড়া দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আরেকটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এসব চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সফররত ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভুটানের রানী জেৎসুন পেমা ওয়াংচুক।
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) জানিয়েছে, নতুন সই হওয়া সমঝোতা স্মারকগুলো হলো- কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা, থিম্পুতে একটি বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপন এবং ভোক্তা অধিকার বিষয়ে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা।
এছাড়া সেখানে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের আরেকটি সমঝোতা স্মারকও নবায়ন করা হয়।
ওয়াংচুক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের আগে শেখ হাসিনার সঙ্গে একটি প্রতিনিধি পর্যায়ের বৈঠকও করেন। তাদের মাঝে একটি একান্ত বৈঠকও হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ও ভুটানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তান্দিন ওয়াংচুক থিম্পুতে প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট স্থাপনের বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন এবং ভুটানের বাণিজ্য সচিব তাশি ওয়াংমো নিজ নিজ পক্ষে কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান এবং ভুটানের বাণিজ্য সচিব তাশি ওয়াংমো ভোক্তা অধিকার বিষয়ে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
সংস্কৃতি বিষয়ক সচিব খলিল আহমেদ এবং ভুটানের পররাষ্ট্র সচিব পেমা চোডেন নিজ নিজ দেশের পক্ষে সাংস্কৃতিক বিনিময় সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক নবায়নে স্বাক্ষর করেন।
এছাড়াও, বাংলাদেশ ভুটানি শিক্ষার্থীদের জন্য বার্ষিক মেডিকেল আসন সংখ্যা ২২ থেকে বাড়িয়ে ৩০ করার প্রস্তাব দিয়েছে।
বাংলাদেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমি প্রতি বছর ভুটানি ফরেন সার্ভিস অফিসারদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য দুটি আসনের প্রস্তাব দিয়েছে এবং ভুটানে একটি কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট স্থাপনে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে (বিএআরসি) ভুটানের তিন ব্যাচের কর্মকর্তাদের তিন বছরের জন্য বার্ষিক বিশেষ প্রশিক্ষণেরও প্রস্তাব করা হয়েছে।
এদিকে, সদিচ্ছা ও বন্ধুত্বের বিশেষ অঙ্গীকার হিসেবে বাংলাদেশ ভুটানের সরকারি কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য কম্পিউটার ও ল্যাপটপ হস্তান্তর করেছে।