চিকিৎসার জন্য ভারতের কলকাতায় গিয়ে হত্যার শিকার বাংলাদেশের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারের ঝিনাইদহের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
কলকাতায় তার মরদেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা জড়ো হয়েছেন ঝিনাইদহের কালিগঞ্জে তার বাড়িতে।
চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়ার পর গত কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ থাকা এমপি আনারের মরদেহ বুধবার কলকাতার অভিজাত এলাকা নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাট থেকে পুলিশ উদ্ধার করে বলে জানায় ভারতীয় গণমাধ্যম টিভি নাইন।
এদিন দুপুরে ঢাকার ধানমণ্ডিতে নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারকে কলকাতার একটি বাসায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বাংলাদেশ পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে এং তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ভারত গিয়েছিলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ৫৬ বছর বয়সী আনোয়ারুল আজীম আনার। উঠেছিলেন কলকাতার উত্তর শহরতলী বরাহনগরে পারিবারিক বন্ধু গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে।
পরদিন ১৩ মে দুপুরে চিকিৎসক দেখানোর উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান। কিন্তু সন্ধ্যায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফেরেননি। পরে আনারের কাছ থেকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাওয়া কথা জানান তার বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। ওই মেসেজে জানানো হয়, আনার জরুরি কাজে দিল্লি চলে গেছেন, তাকে ফোন করার দরকার নেই। প্রয়োজন হলে তিনিই ফোন করবেন।
কিন্তু এরপর থেকে আর কোনোভাবেই ফোনে পাওয়া যায়নি এমপি আনোয়ারুল আজীমকে। এতে স্বাভাবিকভাবে উৎকণ্ঠা ছাড়ায় তার বাংলাদেশের বাসায়ও। পাশাপাশি গোপাল বিশ্বাসও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পরে উপায়ান্তর না দেখে গত ১৮ মে বরাহনগর থানায় জিডি করেন গোপাল বিশ্বাস। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে বরাহনগর থানা পুলিশ। এরপর বুধবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধারের খবর আসে।
আনোয়ারুল আজীম ঝিনাইদহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন।