Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪
Beta
বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪

কিশোর হত্যা : আশুলিয়ায় সাবেক এমপিসহ ৪০ জনের নামে মামলা

কিশোর আস-সাবুর হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম।
কিশোর আস-সাবুর হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাবেক এমপি সাইফুল ইসলাম।
[publishpress_authors_box]

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এক কিশোরকে পিটিয়ে, গুলি করে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে ঢাকা-১৯ আসনের (সাভার-আশুলিয়া) সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে।

রবিবার রাতে আশুলিয়া থানায় এ মামলা করেন বাইপাইলে নিহত শিক্ষার্থী আস-সাবুরের মা রাহেন জান্নাত ফেরদৌসী।

১৫ বছরের কিশোর আস-সাবুর মায়ের সঙ্গে আশুলিয়ার শিমুলতলা এলাকায় বাস করত। সে স্থানীয় শাহীন স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

থানার ওসি এএফএম সায়েদ সোমবার জানান, সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামসহ মামলায় ৪০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও অনেককে।

৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ঢাকা-১৯ আসনে ৮৪ হাজার ৪১২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম। এই আসনের দুই হেভিওয়েট প্রার্থী ডা. মো. এনামুর রহমান ও মো. তৌহিদ জংকে হারিয়ে জয় পেয়েছিলেন তিনি। তবে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করলেও তিনি মূলত আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

সাইফুল ইসলাম ছাড়াও আস-সাবুর হত্যা মামলায় যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন, আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাব উদ্দিন মাদবর, ইয়ারপুর ইউপি চেয়ারম্যান শামীম আহমেদ সুমন ভুইয়া ও তার বোনজামাই রুবলে আহমেদ ভুইয়া ওরফে জামাই রুবেল, আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার, ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য এনামুল হক মুন্সী, আশুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হেলালার মাদবর।

এজাহার বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আস-সাবুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিতে বাসা থেকে বেরিয়ে বাইপাইলে যায়। দুপুর তিনটা পর্যন্ত আস-সাবুরের সঙ্গে তার মায়ের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হয়েছে। কিন্তু এরপর থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ করতে পারেননি তার মা। রাতেও বাসায় ফেরেনি আস-সাবুর।

পরদিন বিকাল ৫টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইল মোড়ে আস-সাবুরের ক্ষতবিক্ষত পোড়া লাশ পাওয়া যায়। সেখান থেকে তার লাশ অ্যাম্বুলেন্সে করে গ্রামের বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুর থানায় নেওয়া হয়। ৭ আগস্ট সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।

মামলার এজাহারে আরও বলা হয়, পরে খোঁজ নিয়ে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন ৫ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক থেকে দেড় হাজার আন্দোলনকারী বাইপাইলে অবস্থান নেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সন্ত্রাসীসহ অজ্ঞাতনামা আরও আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয়, তাদের এলোপাতাড়ি পেটায় ও গুলি করে।

সেসময় আস-সাবুর দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে লাঠি দিয়ে পেটানোর পর গুলি করে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে আস-সাবুর ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

ওসি এ এফ এম সায়েদ বলেন, “নিহতের মায়ের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় ৪০জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা আরও অনেককেই আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত