Beta
বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ১ মে, ২০২৫

তামিমের পর এবার মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে আলোচনার অপেক্ষা

Mahmudullah-Riyad-Mushfiqur-Rahim-e1740647553765.jpg
[publishpress_authors_box]

২০২৫ মৌসুমের জন্য কেন্দ্রীয় চুক্তি ঠিক করে রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। সেখানে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর রিয়াদের নাম রাখা হয়েছে। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম দুই সেরা ক্রিকেটার বলে তাদের নাম বাদ দিয়ে কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা দিতেও পারেননি নির্বাচকরা।

সোমবার বিসিবির সভায় সেই চুক্তির তালিকা গৃহিত হয়েছে। এবার অনুমোদনের অপেক্ষা। সেই অনুমোদন দেওয়ার জন্য কিছু সময় নিয়েছে বিসিবি। মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে আলোচনা করে সেই চুক্তির তালিকা অনুমোদন দেওয়া হবে।

এর আগেও তামিম ইকবালের জাতীয় দলে খেলা – না খেলা নিয়ে আলোচনার অপেক্ষায় সময় গড়িয়েছে। এবার মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে একই অবস্থা শুরু হচ্ছে!

তামিম ইকবাল নিজে থেকে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে তাকে না রাখার অনুরোধ করেছিলেন। জাতীয় দলে খেলছেন না বলে শুধু শুধু বেতন নেওয়ার সুবিধা নিতে চাননি তিনি। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর ক্ষেত্রে ব্যাপারটি এমন নয়। তারা জাতীয় ওয়ানডে দলের সদস্য। তবে তাদের পারফরম্যান্স দলে এ দুজনের অপরিহার্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে।

সেই প্রশ্ন থেকেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর এ দুই ক্রিকেটারের অবসর দেখতে চেয়েছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু দুই ক্রিকেটার কেউই এ ব্যাপারে মুখ খুলেননি। তাই বাধ্য হয়েই দুজনকে রেখে কেন্দ্রীয় চুক্তির তালিকা দিতে হয় নির্বাচকদের।

তাহলে মুশফিক-মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে বিসিবির পরিকল্পনা কি? সোমবার ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানিয়েছিলেন দুই ক্রিকেটারের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। সেই আলোচনা কবে হবে?

সকাল সন্ধ্যাকে বিসিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, “এটাতো প্রস্তাবনা আকারে গিয়েছে (চুক্তির তালিকা)। এখনও কোন কিছু চূড়ান্ত হয়নি। এই বছর তাদেরকে দেখা হতে পারে কেমন পারফরম করেন। এর মাঝে যদি আলোচনা হয় তাহলে একটা সিদ্ধান্ত আসবে।”

জাতীয় দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অপর একটি সূত্র সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছে, “ওদের দুজনকে নিয়ে যে রিপোর্ট হচ্ছে যে তারা চুক্তিতে আছেন ব্যাপারটি তো সত্য না। এখনও সিদ্ধান্তই হয়নি। তাই চূড়ান্ত কিছু বলা যায় না।”

এ বছর মে মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে আইসিসি এফটিপির নির্ধারিত সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সেখানে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দুই ফরম্যাটই আছে। এরপর জুনে শ্রীলঙ্কায় তিন ফরম্যাটের পূর্ণাঙ্গ অ্যাওয়ে সিরিজ। পরে পাকিস্তানের বিপক্ষে সাদা বলের হোম সিরিজ আয়োজনের কথা চলছে বিসিবি ও পিসিবির মাঝে। এরপর সেপ্টেম্বরে ভারত আসবে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ খেলতে।

২০২৫ এর বাকি সময় প্রায় পুরোটাই ব্যস্ততায় কাটবে বাংলাদেশ দলের। এখন চলছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ। মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে আলোচনা না হলে এ বছর আর দুই ক্রিকেটারের অবসরের সুযোগ নেই। এ বছর কেটে গেলে ২০২৭ এ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর নতুন ক্রিকেটার না থাকার অজুহাতে আরও একটি বিশ্বকাপ খেলে ফেলতে পারেন মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ।

অথচ এ দুজন যদি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পরই স্টিভেন স্মিথের মতো অবসরের সিদ্ধান্ত জানাতো তবে সামনের সাদা বলের সিরিজগুলোতে ২০২৭ বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে ক্রিকেটার তৈরি করতে পারতো বিসিবি।

মুশফিক ও মাহমুদউল্লাহর সামনে একটা পথ খোলা আছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে জুলাই-আগস্টে ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ হলে ওই সিরিজে দেশের মাটিতে অবসর নিতে পারেন দুই ক্রিকেটার। তাদের মানের খেলোয়াড়ের জন্য যা হবে যথার্থ। অবশ্য বিসিবির সঙ্গে সেই আলোচনা কি আদৌ হবে! আর মুশফিক-মাহমুদউল্লাহ-ই বা এমন প্রস্তাব নিজে থেকে দেবেন? সেটাই বড় প্রশ্ন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত