রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রদূত হতে যাচ্ছেন মুশফিকুল ফজল আনসারী; যিনি গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্র দপ্তরের বিভিন্ন সংবাদ সম্মেলনে গিয়ে নানা প্রশ্ন করে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরাগভাজন হয়েছিলেন।
সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে ফজল আনসারীকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রজ্ঞাপন হয়। একই দিনে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ায় বর্তমান রাষ্ট্রদূতদের চুক্তি বাতিলের প্রজ্ঞাপন হয়েছে।
ওয়াশিংটনে রাষ্ট্রদূত পদে মোহাম্মদ ইমরান এবং মস্কোয় রাষ্ট্রদূত পদে কামরুল ইসলাম চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে ছিলেন। তাদের চুক্তির মেয়াদের অবশিষ্টাংশ বাতিল করা হয়েছে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে রাষ্ট্রদূতের দায়িত্বে থাকা মো. আবু জাফরের চুক্তির মেয়াদের বাকি অংশও বাতিল করা হয়েছে।
এই তিন দেশে রাষ্ট্রদূত এখন কারা হচ্ছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে এদিনই মুশফিকুল ফজল আনসারীকে তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে তাকে রাষ্ট্রদূত হিসাবে পদায়নের জন্য তার চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সরকারি চাকরিতে জ্যেষ্ঠ সচিব হিসাবে সুপার গ্রেডে নিয়োগ পাচ্ছেন মুশফিক। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূতদের জ্যেষ্ঠ সচিব পদ মর্যাদা দেওয়া হয়।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে ঘটার পর কূটনৈতিক অঙ্গনেও রদবদল চলছে। তবে ভারত ও যুক্তরাজ্যে আগের হাই কমিশনাররা এখনও রয়েছেন।
এ থেকে ধারণা পাওয়া যায়, মুশফিক ফজল গুরুত্বপূর্ণ কোনও দেশেই রাষ্ট্রদূতের দায়িত্ব পেতে যাচ্ছেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে তার উপ প্রেস সচিব ছিলেন মুশফিক ফজল। তিনি বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটিরও সদস্য সচিব ছিলেন। খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর ভাগ্নে হিসাবে তাকে চিনত সবাই।
পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। নিজেকে জাস্ট নিউজ বিডির সম্পাদক, সংবাদমাধ্যমটির হোয়াইট হাউজ প্রতিনিধি, জাতিসংঘ প্রতিনিধি পরিচয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের সংবাদ সম্মেলনগুলোতে নিয়মিত যোগ দিনে ফজল আনসারী।