কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে হয়ে যাওয়া সহিংসতায় স্থবির ছিল পুরো বাংলাদেশ। বিশৃঙ্খলা থামাতে সরকার কারফিউ জারি করে। চারদিন পর বুধবার পরিস্থিতি শান্ত হওয়ায় স্বাভাবিকতার ছোঁয়া লাগছে দেশে। সেই রেশ লেগেছে ক্রীড়াঙ্গনেও।
সহিংসতার কারণে বন্ধ থাকা জাতীয় দলের ক্যাম্প মাঠে ফিরছে। আগে থেকেই চট্টগ্রামে থাকা বাংলাদেশ টাইগার্স ও এইচপির ক্রিকেটাররা মঙ্গলবার অনুশীলন করেছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার থেকে দুই দলের ক্রিকেটারদের দুইদিনের ম্যাচে নামার কথা আছে।
এর আগে ১৫ ও ১৬ জুলাই যথাক্রমে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছে দুই দলের ক্রিকেটাররা। ১৯ ও ২০ তারিখ দুই ফরম্যাটের আরও দুটি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। এরপর বিশ্বকাপ শেষে ছুটিতে থাকা জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ২১ তারিখ যোগ দেওয়ার কথা ছিল ক্যাম্পে।
কিন্তু পরিস্থিতির ম্যাচ দুটি হয়নি, ক্রিকেটাররাও চট্টগ্রামে যেতে পারেননি। জানা গেছে বুধবার সকালেই তাদের চট্টগ্রাম যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। এ তালিকায় আছেন টেস্ট দলের মুশফিকুর রহিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, শরিফুল ইসলাম, লিটন দাসরা।
আগস্টে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দুই ম্যাচের সিরিজ খেলতে পাকিস্তান যাবে বাংলাদেশ দল। চট্টগ্রামে সেই প্রস্তুতিই চলছিল। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাসহ বাংলাদেশ টাইগার্স ও এইচপি দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে তিনটি তিনদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল।
পরে তা দুটি ম্যাচে নেমে আসে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কারণে এখন মাত্র একটি তিনদিনের ম্যাচ হওয়ার কথা আছে ২৯-৩১ জুলাই। আর একটি দুই দিনের ম্যাচ হবে ২৫ ও ২৬ জুলাই।
বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সিরিজের চূড়ান্ত সূচি ঘোষণা হয়নি। তাই দল কবে পাকিস্তান যাচ্ছে তা নিশ্চিত নয়। এর আগ পর্যন্ত দেশে ক্যাম্পে ব্যস্ত থাকবেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু সহিংস পরিস্থিতির কারণে কোচদের মধ্যে শুধু বোলিং কোচ আন্দ্রে অ্যাডামস ছাড়া আর কেউই বাংলাদেশে আসতে পারেননি।
জাতীয় দলের পাকিস্তান সফরের আগে বাংলাদেশ “এ” দল দেশটিতে যাবে ৬ আগস্ট। বাংলাদেশ টাইগার্স ও এইচপির বেশিরভাগ ক্রিকেটাররা ওই দলে থাকবেন। তাই ম্যাচ অনুশীলনের সুযোগ থাকছে না টেস্ট দলের ক্রিকেটারদের জন্য। এছাড়া আগে থেকেই অস্ট্রেলিয়া সফরে আছে এইচপি দলের ক্রিকেটারদের বড় অংশ।
ওই সফরে লম্বা ফরম্যাটের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে ১৪৯ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছে তারা। ডারউইনের ম্যাচটিতে বিপক্ষ দল প্রথম ইনিংসে ৩ উইকেটে ৪৬৮ রান তোলে। জবাবে এইচপি মাত্র ২৬৬ রানে গুটিয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে শাহিনস ৩ উইকেটে ২২৬ রান তোলে। ৪২৯ রানের লক্ষ্যে নেমে শেষ ইনিংসে ২৭৯ রানে অলআউট হয় এইচপি।