মিরপুরে খেলে টেস্ট থেকে অবসর নিতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। সেটা হয়নি। নানা কারণেই দেশে ফেরা হয়নি তার। তবু মিরপুর টেস্টটা মাইলফলকের মঞ্চ অনেকের।
তিন ফরম্যাট মিলিয়ে মুমিনুল হক খেললেন ১০০তম ম্যাচ। মুমিনুল টেস্ট খেলেছেন ৬৬, ওয়ানডে ২৮ আর টি-টোয়েন্টি ৬টি।
টেস্টে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে ৬০০০ রানের দুয়ারে মুশফিকুর রহিম। মিরপুরের আগে ৯২ টেস্টে তিনি করেছিলেন ৫৯৬১ রান। মাইলফলকে পৌঁছাতে দরকার কেবল ৩৯ রান। বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে টেস্টে তামিম ইকবালের রান দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫১৩৪ আর সাকিব আল হাসানের রান ৪৬০৯।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটার হিসেবে এক ভেন্যুতে ৫ হাজার রানের হাতছানিও আছে মুশফিকের (তিন ফরম্যাট মিলিয়ে)। এজন্য মিরপুর টেস্টে দরকার ছিল ৪৪ রান। দুই মাইলফলকের জন্যই অপেক্ষা বেড়েছে তার। ১১ রানে তিনি বোল্ড হয়েছেন কাগিসো রাবাদার বলে।
কাগিসো রাবাদার টেস্ট উইকেট ছিল ২৯৯টি। মুশফিককে বোল্ড করে বলের হিসেবে দ্রুততম ৩০০’র মাইলফলকে পা রাখলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার ষষ্ঠ ও টেস্ট ইতিহাসে ৩৯ জন বোলার নিয়েছেন ৩০০ বা বেশি উইকেট।
ওয়াকার ইউনিস এই মাইলফলকে পা রেখেছিলেন ১২৬০২ বলে, রাবাদার লাগল ১১৮১৭ বল। ৭৮৫টি কম বলে ৩০০ উইকেট নিলেন রাবাদা। কমপক্ষে ৩০০ টেস্ট উইকেট নেওয়া বোলারদের মধ্যে রাবাদার স্ট্রাইক রেটই ৪০-এর নিচে!
মাইলফলকের হাতছানি রয়েছে তাইজুল ইসলামেরও। টেস্টে তার উইকেট ১৯৬টি। আর ৪ উইকেট নিলে সাকিব আল হাসানের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে ২০০ উইকেট হবে তার। মেহেদী হাসান মিরাজের টেস্ট উইকেট ১৮৬টি।